photo

Azizur Rahman

Bangladeshi film director
Date of Birth : 10 Oct, 1939
Date of Death : 14 Mar, 2022
Place of Birth : Bogura
Profession : Film Director
Nationality : Bangladeshi
আজিজুর রহমান (১০ অক্টোবর, ১৯৩৯ – ১৪ মার্চ, ২০২২) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। পরিচালক এহতেশামের সহকারী হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র লোককাহিনী নির্ভর সাইফুল মুল্‌ক্‌ বদিউজ্জামাল (১৯৬৭)। তিনি অশিক্ষিত (১৯৭৮), মাটির ঘর (১৯৭৯), ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০) চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।

প্রাথমিক জীবন
আজিজুর রহমান ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরের কলসা সাঁতাহার মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রুপচাঁন প্রামানিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন।

কর্মজীবন
১৯৫৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের সহকারী হিসেবে এ দেশ তোমার আমার চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর পূর্বে তিনি ও সুভাষ দত্ত এভারগ্রিন পাবলিসিটিতে চলচ্চিত্রের ব্যানার তৈরি করতেন। দুজনে এহতেশাম ও তার ভাই মুস্তাফিজের সাথে পরিচিত হন শান্তাহারের মিনার সিনেমা হলে। সে সময় তিনি বংশালে থাকতেন। তিনি রাজার দেউড়িতে এহতেশামের লিও ফিল্মসের অফিসে দেখা করতে যান। তিনি এহতেশামকে তার চলচ্চিত্রে শিল্প নির্দেশনার কাজের আগ্রহ দেখান। তিনি জানান এই কাজ সুভাষ দত্ত করবে এবং রহমানকে তার সহকারী হিসেবে যোগ দিতে বলেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি এহতেশাম ও মুস্তাফিজের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ময়মনসিংহের লোককথা নিয়ে সাইফুল মুল্‌ক্‌ বদিউজ্জামাল (১৯৬৭)। সে সময় তিনি এহতেশামের চকোরী চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। লিও ফিল্মসের নির্মাণ ব্যবস্থাপক আলী তাকে একজন প্রযোজন হতে আগ্রহী ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচালনা জীবনের শুরুতেই লোককাহিনী ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি অনাগ্রহ দেখালেও এহতেশামের উপদেশে এই ছবিটি নির্মাণ করেন। আশরাফ সিদ্দিকীর গল্প অবলম্বনে ছবিটি তিনি বাংলা ও উর্দু দুই ভাষাতেই নির্মাণ করেন। উর্দু ভাষায় ছবিটির নাম ছিল মেরে আরমান মেরে স্বপ্নে। ছবিটিতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন সুজাতা ও আজিম। এটি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান, দুই স্থানে হিট হয়। পরের বছর আবার সুজাতা-আজিম জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে মধুমালা। ১৯৬৯ সালে তিনি সমাধান চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেন। কাজ সমাপ্ত হলেও ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। ছবিটি ২৫ সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল।

তার পরিচালিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র অশিক্ষিত ও ছুটির ঘণ্টা চলচ্চিত্র দুটি দেশে ও দেশের বাইরে প্রশংসিত হয়। অশিক্ষিত চলচ্চিত্রে বয়স্কদের শিক্ষাগ্রহণে কোনো বয়স নেই সেটা দেখানো হয়েছে এবং শিক্ষাকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছুটির ঘণ্টা চলচ্চিত্রে অপরাধবোধ প্রায়শ্চিত্য, চাঞ্চল্য, মৃত্যু মিলিয়ে সচেতনতাকে আহ্বান করা হয়েছে। অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে স্বীকৃতি, অপরাধ, গরমিল, মায়ের আচঁল, জনতা এক্সপ্রেস প্রভৃতি। ২০১৬ সালে তিনি মাটি নামে একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এটি তার প্রথম কাজ।

মৃত্যু
আজিজুর রহমান ২০২২ সালের ১৪ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় কানাডার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ফুসফুসে পানি চলে আসার কারণে তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.