photo

Amir Hamza

Islamic scholars
Date of Birth : 28 October, 1992 (Age 32)
Place of Birth : Kustia Sadar Upazila
Profession : Islamic Scholars
Nationality : Bangladeshi
মুফতি আমির হামজা (Amir Hamza) একজন বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত, আলেম ও ওয়াজ মাহফিলের আলোচক। তিনি সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করে থাকেন। দেশের নানাস্থানে ইসলামিক বক্তব্য দিতে তার উপর বাঁধা এসেছে অথবা সরকার ও প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন হয়েছে। তিনি ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, সিংগাপুরসহ নানা দেশে দাওয়াতি কাজে ইসলামি আলোচনা করার জন্য গমন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাচ্ছির পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০২১ সালে ইসলামিক বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে চরমপন্থী শিক্ষার প্রচারের অভিযোগ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

আমির হামজা ১৯৯২ সালের ২৮ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ডাবিরাভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন, তিনি সাধারণ একজন কৃষক ছিলেন। আমির হামজা ছোটবেলায় সর্বপ্রথম কুরআনের হেফজ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে ইফতাহ সম্পন্ন করেন, এইজন্য তাকে মুফতি উপাধি দেওয়া হয়। তবে তিনি কওমি মাদ্রাসার পাশাপাশি আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা চালিয়ে যান। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম শ্রেনী সম্পন্ন করার পরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের আল কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। এখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে দাওয়াতের কাজে মনোনিবেশ করেন।

জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদীর অভিযোগ আনা হয়, তবে নেটিজেনদের মতে করোনা ইস্যু নিয়ে তাকে বৈজ্ঞানিক ও ভুল বক্তব্য দিতে দেখা গেলেও মাহফিলে কোন উগ্রবাদী বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি।

অভিযোগ ও মামলা

২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তিনি দাবী করেন, হামজা নিরীহ নাগরিকদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন এবং জিহাদে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ দাবী করে, এই বক্তা ওয়াজ মাহফিলে বিভ্রান্তিকর ও উগ্রবাদী তথ্য ছড়িয়েছেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে শেখ হাসিনার দ্বাদশ সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক একটি শাখা ১৫ জন ইসলামি বক্তার একটি তালিকা করেন, এরমধ্যে মাহমুদুল হাসান গুনবী ও আমির হামজার উল্লেখ ছিলো।

২০২১ সালের ২৪ মে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাকে নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ার ডাবিরাভিটা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে রাষ্ট্রবিরোধী বিরুদ্ধে অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর ৩১ মে থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন। তিনি ৯২৫ দিন কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের ০৭ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। ২০২৪ সালের ২৮ মার্চে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়, বলা তিনি তিনি জননিরাপত্তার অবনতি ও ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতেন।

২১ আগস্ট ২০২৪ সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ওয়াজ করার অভিযোগ করেন এবং তদন্ত শুরু করেন। মন্ত্রণালয় আরো বলেন, তিনি শ্রমিকদের মধ্যে চরমপন্থী শিক্ষার প্রচার করেছিলেন।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.