-64bd2b514963c.jpg)
Abdullah Abu Sayeed
Bangladeshi writer and presenter
Date of Birth | : | 25 July, 1939 (Age 86) |
Place of Birth | : | Park Circus, Calcutta, British India |
Profession | : | Teacher, Writer, TelevisionPresenter, Activist |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
Instagram
|
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (Abdullah Abu Sayeed) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং কর্মী। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান, একটি অলাভজনক সংস্থা যা সাহিত্যের অধ্যয়ন, পড়ার অভ্যাস এবং প্রগতিশীল ধারণাকে প্রচার করে।
জীবনের প্রথমার্ধ
সাঈদ ১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আজিমুদ্দিন আহমেদ, ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক এবং একজন নাট্যকার। সাঈদ ১৯৫৫ সালে আরএম একাডেমি, পাবনা থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এবং ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি যথাক্রমে ১৯৬০ এবং ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
সাঈদ মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর কিছুদিন সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে সার্বক্ষণিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ৫ মাস পর ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান কলেজে যোগ দেন। তিনি ২ বছরের জন্য একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তিনি বুয়েটে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে বাংলা পড়ান
সাঈদ সহকারী অধ্যাপক পদে সাক্ষাৎকার দেন। সাঈদের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে ঢাকা কলেজের প্রখ্যাত অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদ সাঈদকে ঢাকা কলেজে আমন্ত্রণ জানান। সাঈদ পরে ঢাকা কলেজে বাংলা ভাষার বিভাগীয় প্রধান হন। তিনি তার ছাত্রদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। কথিত আছে, এমনকি অন্যান্য কলেজের ছাত্ররাও তার ক্লাসে উপস্থিত হতেন। তিনি নিশফোলা মাথের কৃষক (একটি অনুর্বর জমির কৃষক) নামে তাঁর শিক্ষকতার কর্মজীবনের উপর একটি বই লিখেছিলেন তিনি ১৯৬০-এর দশকে সাহিত্য পত্রিকা কণ্ঠস্বর (দ্য ভয়েস) সম্পাদনা করেন যা বাংলাদেশী সাহিত্যে একটি নতুন ধারার প্রচার করে।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটি টিভি অনুষ্ঠান সপ্তবর্ণ (সেভেন কালার) উপস্থাপনা শুরু করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার পান।
১৯৭৮ সালে তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।কাজ করে
সাঈদ ৫০টিরও বেশি বই লিখেছেন ও সম্পাদনা করেছেন
বিদায়ে, ওবন্টি (২০০৫)
বোহে জলবতী ধারা (২০০৬)
ভালোবাসার শম্পান (২০০৭)
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও আমি (২০০৭)
বিসরোস্টো জার্নাল (২০০৭)
আমার পোস্টক জীবন (২০০৮)
আমার আশাবাদ (২০০৯)
আমার বোকা শোশোব (২০১০)
পুরস্কার
র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার (২০০৪) সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্পে "বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বইয়ের প্রতি ভালবাসা এবং তাদের মানবিক মূল্যবোধ বাংলা ও বিশ্বের মহান কাজের সাথে পরিচিত করার জন্য"।
জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার (১৯৭৭)
মাহবুব উল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কার (১৯৯৮)
একুশে পদক (২০০৫)
তাঁর প্রবন্ধের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০১১)
খান মুহাম্মদ ফারাবী মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড (২০১২)
স্টার লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড অন এডুকেশন (২০১৬)
Quotes
Total 20 Quotes
বুদ্ধিজীবীরা আবার আমাকে বুদ্ধিজীবী মনে করেনা, কারণ আমি হাঁসি। বিদ্যা বুদ্ধি তো আর কারো চেয়ে কম ছিল না, শুধু ঐ একটা জায়গাতে মার খেয়ে গেলাম, আমার হাঁসি। হাসলে পরে তুমি আর বুদ্ধিজীবী থাকতে পারবে না। আপনি হাসেন? তার মানে তো আপনি লাইট।
সেটুকুই আমরা, যেটুকু আমরা সংগ্রাম করি।
যে কোনো জাতির প্রতিভাবানেরা সে জাতির গড়পড়তা মানুষের সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা সবাই সে জাতির প্রিয় প্রতিপক্ষ।
আমি যদি উন্নত জাতের হাঁস মুরগি পালন, গোখামার তৈরি, এ ধরণের কাজগুলো করতাম তাহলে এতদিনে কত টাকা যে কামিয়ে ফেলতাম। কিন্তু পড়লাম মানুষের উন্নতি নিয়ে-আলোকিত মানুষ। না বুঝি নিজে, না পারি অন্যকে বোঝাতে।
প্রত্যেকটা বড় মানুষ তার যুগে নাস্তিক।
সুন্দর মুহূর্তগুলো আমরা মনে রাখিনা, ভুলে যাই। কে ১০০ দিন রসগোল্লা খাইয়েছিল সেটা আমরা মনে রাখিনা, কিন্তু কে একদিন কান মুচড়ে দিয়েছিল তা মনে রেখে দিয়েছি।
একটা বৃদ্ধের যৌবন হলো তার জীবনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও যৌবনের সমন্বয়। তার সাথে যুবকের যৌবন কী করে পারবে?
যেকোনো জাতির প্রতিভাবানেরা সে জাতির গড়পড়তা মানুষের সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা সবাই সে জাতির প্রিয় প্রতিপক্ষ।
ফুলের অনেক বৈচিত্র বা রঙের জৌলুশ আছে। এগুলো তার সাফল্য। কিন্ত যে গন্ধ দিয়ে সে আমাদের মন ভোলায়, তা হলো তার সার্থকতা।
আসলে জীবন ছোট নয় আমাদের সুখের মুহূর্তগুলো ছোট।