
Abdul Malik
Bangladeshi cardiologist
Date of Birth | : | 01 December, 1929 (Age 95) |
Place of Birth | : | Dakshin Surma Upazila |
Profession | : | Cardiologist |
Nationality | : | Bangladeshi |
জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক (জন্ম: ১ ডিসেম্বর ১৯২৯) হৃদরোগের চিকিৎসায় যিনি বাংলাদেশের দেশের পথিকৃৎ। তিনি সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক মনোনীত হয়েছেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
আব্দুল মালিক ১ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মাতার নাম মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন। প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল। মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় তিনি ১১তম স্থান অর্জন করেন।আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
পরিবার
তার স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তারা ০২ ছেলে ০১ মেয়ের জনক-জননী। তার মেয়ে ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মো. মাসুদ মািলক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।
বর্তমান অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড
জনাব মালিক ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান আর্মি মেডিকেলকারে যোগদান করেন। তিনি মিলিটারী হাসপাতাল, রাউয়ালপিন্ডিতে কার্ডিয়াক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭০ সালের জুন মাসে আইপিজিএমআর, ঢাকা (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এ যোগদান করেন এবং ১৯৭০-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি আইপিজিএমআর-এ কার্ডিলজির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন এবং কার্ডিয়াক ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি WHO-এ Cardiovascular Disease Expert Panel Committee-তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ২০০১ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.