E Cap 400 কি কাজ করে

E Cap 400 কি কাজ করে
Admin February 01, 2025 255
ভিটামিন E-৪০০ ক্যাপসুল হল একটি খাদ্যতালিকাগত সম্পূরক যা আপনি বিভিন্ন উপায়ে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

উপকারিতা

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

ই ক্যাপ আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে এমন এক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট হয়েছে যা আমাদের ত্বক এবং মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সৌন্দর্য চর্চার ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ মুখে খাওয়া যেতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায়। 

চুলের যত্নে

ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। যারা চুল পড়া সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটি জাদুর মত কাজ করে। ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম হল এই ক্যাপসুল মুখে খাওয়ার পাশাপাশি নিত্যদিনের ব্যবহার্য তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলে ব্যবহার করার ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর মাথা শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হয়। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন করে এক মাস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

বয়সের ছাপ দূর করতে 

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এন্টি এজিং ক্রিম হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত যদি ঝুলে যাওয়া এবং কুঁচকে যাওয়া ত্বকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল মালিশ করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বাড়ার পাশাপাশি সব ধরনের বলিরেখা দূর হয়। 

ক্রিম হিসেবে

যারা নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য ভিটামিন-ই মশ্চারাইজিং হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। নিয়মিত ব্যবহৃত ক্রীম কিংবা লোশনের সাথে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মিশিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

নখের ভঙ্গুরতা রুখতে

সারাদিন বাহিরে কিংবা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সাংসারিক কাজ করার কারণে যাদের নখের ভঙ্গুরতা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে একমাত্র ঔষধ হলো ভিটামিন-ই ক্যাপ ক্যাপসুল। নিয়মিত ই ক্যাপ ক্যাপসুলের তেল ভেঙে যাওয়া নখে মালিশ করলে এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। 

রোদের ক্রিম 

বাইরে রোদে কাজ করার কারণে যাদের ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায় তাদের জন্য সেরা মশ্চারাইজিং হলো ভিটামিন-ই। কুলিং ক্রিমের সাথে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন-ই মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব সহজেই রোদে পুড়ে কালো হওয়া থেকে দূরে থাকা যায়। 

ক্ষত সারাতে

শরীরের ক্ষত নিরাময় করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ই-ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করলে যেকোনো ক্ষতস্থান খুব দ্রুত সেরে ওঠে। 

ভিটামিন ই এর অভাব পূরণে

ই ক্যাপ ক্যাপসুল শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে ই-ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। 

ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর অপকারিতা

সাধারণত ই ক্যাপ ক্যাপসুলের তেমন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া এবং অপকারিতা দেখা যায় না। তবে অত্যাধিক পরিমাণে ই ক্যাপ সেবন করলে আমাশয় সহ এলার্জি জনিত রি-একশন দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়?

না, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হওয়া যায়না। তবে নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হবার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকে। এতে শরীর একটু মোটা হতে পারে।

ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম

ই ক্যাপ ৪০০ দিনে মানে ২৪ ঘন্টায় ১ টাই যথেষ্ট। রাতের খাবার খাওয়া পরে ঘুমানোর আগে খাবেন। ২০০ এর টা হলে সকাল ও রাত মিলে ২টা সারা দিনে। তবে আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা কিংবা যৌন উত্তেজনা জনিত সমস্যা থাকে তাহলে ৪০০ এর টা দিনে দুটো খেতে পারবেন।

ই ক্যাপ খেলে কি হয়

Vitamin E ক্যাপসুল খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী হয়, যা সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।শরীরের কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। ত্বকের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে। যেমন: বলিরেখা কমানো, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করা।