
Zubeen Garg
Indian musician
Date of Birth | : | 18 November, 1972 |
Date of Death | : | 19 September, 2025 (Aged 52) |
Place of Birth | : | Tura, India |
Profession | : | Music Director, Actor |
Nationality | : | Indian |
জুবিন গর্গ (Zubeen Garg) ছিলেন একজন ভারতীয় গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, স্ক্রিপ্ট লেখক এবং সমাজসেবী। জুবিন গার্গকে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের "রাজপুত্র" বলা হয়। তিনি মূলত অসমীয়া, বাংলা এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীত শিল্পের জন্য কাজ করেন এবং গেয়ে থাকেন, তবে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী, বোরো, ইংরেজি, গোয়ালপাড়িয়া, কন্নড়, কারবি, খাসি, মালায়ালাম সহ আরও অনেক ভাষা ও উপভাষায় গান করেছেন। , মারাঠি, নেপালি, ওড়িয়া, সংস্কৃত, সিন্ধি, তামিল, তেলুগু, তিওয়া। তিনি একজন যন্ত্র যন্ত্রও রয়েছেন এবং ঢোল, দোতারা, ড্রামস, গিটার, হারমোনিয়াম, ম্যান্ডোলিন, কীবোর্ড, তবলা এবং বিভিন্ন পার্কিউশন যন্ত্র সহ ১২ টি যন্ত্র বাজান তিনি আসামের সর্বাধিক বেতনের গায়ক। ১৯৯২ সনে জুবিনের প্রথম অসমীয়া এ্যালবাম "অনামিকা" মুক্তি পেয়েছিল। জুবিন ঢোল, ড্রাম, দোতারা, মেন্ডলিন ও ইলেকট্রনিক কি-বোর্ড বাজাতে পারেন। "শুধু তুমি" বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতকারের পুরস্কার লাভ করেছিলেন। হিন্দি "ইয়া আলি" গানের জন্য জুবিন গার্গ গ্ল'বেল ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও স্টারডার্ড পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন জুবিন গর্গ; তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন।
বংশ এবং পরিবার
১৯৭২ সনের ১৮ নভেম্বরে মেঘালয় রাজ্যের তুরা শহরে জুবিন গর্গের জন্ম হয়েছিল। তাহার পিতার নাম মোহিনী. এম.বরঠাকুর এবং মাতার নাম স্বর্গীয়া ইলি বরঠাকুর। প্রথম জীবনে জুবিনের নাম ছিল জুবিন বরঠাকুর। প্রসিদ্ধ গীতিকার জুবিন মেহেতার নামকরনে জুবিনের নাম রাখা হয়েছে ও গোত্রের নাম থেকে উপাধি নেওয়া হয়েছে। জুবিনের পরিবার শিবসাগরের জাঁজীর স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। উনার পিতা কর্মসূত্রে মেজিস্ট্রেট ছিলেন। পেশাগত কারণে জুবিনের পিতা বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন। তাই ছোটবেলা থেকেই জুবিন এসব স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। জুবিনের পিতা ’কপিল ঠাকুর’ ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। জুবিনের মা ইলি বরঠাকুর একজন বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী , অভিনেত্রী ও সুগায়িকা ছিলেন। তিনি নিজের প্রতিভাকে পেশাগত ভাবে ব্যবহার করতেন না। তিনি বালক জুবিনের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। জুবিন প্রথম গুরু হিসাবে নিজের মাকে স্মরণ করেন। জুবিনের বোনের নাম জংকি বরঠাকুর। জংকি বরঠাকুর একজন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন। ২০০২ সনে তেজপুর টাউনে একটি শোকাবহ মোটর দুর্ঘটনায় জংকির মৃত্যু হয়। জংকি বরঠাকুরের স্মৃতির জন্য জুবিন গর্গ “শিশু” নামক একটি গানের এ্যালবাম রচনা করেন। ২০০২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জুবিন গার্গ ফেশ্বন ডিজাইনার " গরিমা শইকীয়া" র সাথে বিবাহপাশে আবদ্ধ হোন।
শিক্ষা
জুবিন প্রথম গুরু হিসাবে নিজের মাকে স্মরণ করেন। গুরু রবীন ব্যানার্জী থেকে জুবিন ছেলেবেলায় তবলা ও গানের শিক্ষা পেয়েছিলেন। অসমীয়া লোক সংস্কৃতির শিক্ষা রমনী রায় থেকে পেয়েছিলেন। জুবিনের পরিবার স্থায়ীভাবে গুয়াহাটি স্থানান্তর হওয়ার জন্য তিনি জগ্গনাথ বরুয়া কলেজ ছেড়ে গুয়াহাটির বি. বরুয়া কলেজে বিজ্ঞানে স্নাতক বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু সংগিতের সঙ্গে সম্পূর্নভাবে জড়িত থাকার জন্য জুবিন শেষ পর্যন্ত কলেজ শিক্ষা সমাপ্ত করিতে পারেন নাই।
কণ্ঠশিল্পীরূপে জুবিন
১৯৯২ সনে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনে স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবনের মোড় পাল্টে যায়। এইসময়ে প্রথমবার কণ্ঠশিল্পী রুপে জুবিন সফলতা অর্জন করেন। ১৯৯২ সনে অসমীয়া এ্যালবাম “অনামিকা” মুক্তি হওয়ার পর জুবিন পেশাধারী সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। এই এ্যালবাম অল্পসময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে। জুবিন নিজের নামে চল্লিশের অধিক এ্যালবাম ও অসংখ্য অসমীয়া চলচ্চিত্রে কন্ঠদান করেছেন। তাছাড়া অনেক বাংলা, হিন্দী, তামিল, তেলুগু, মারাঠী ও নেপালী সহ ৪০টি ভাষায় সর্বমোট ২০,০০০ থেকেও বেশি গান গেয়েছেন। ফিজা, কাটে, গ্যাংস্টার, প্যায়ার কে সাইড এফেক্ট ইত্যাদি হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে জুবিনের সুকন্ঠের আভাস পাওয়া যায়। ২০০০ সনে জুবিন অসমীয়া চলচ্চিত্র “তুমি মোর, মাথো মোর” কাহিনী লিখেছিলেন এবং স্বয়ং নিজে পরিচালনা ও অভিনয় করেছিলেন। তিনি ২০০৫ সনে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অসমীয়া চলচ্চিত্র “দীনবন্ধুতে” সহ-পরিচালনা, অভিনয় ও কন্ঠদান করেছিলেন। জুবিন সঞ্জয় ঝা এর দ্বারা পরিচালিত হিন্দী চলচ্চিত্র “স্ট্রিং” এর সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। জুবিন কন্ঠদান করা নতুন ছবিগুলোর নাম হ’ল : গ্যাংস্টার, ক্রিশ ৩, গুড বয় বাড বয়, পেয়ার কে সাইড এফেক্ট, জিমি, কেয়া লাভ স্টোরি হ্যায়, আই সি ইউ, বিগ ব্রাদার, ভিক্টোরিয়া নং ২০৩, বোম্বাই টু ব্যাংকক, নমস্তে লন্ডন, আশায়েন, দ্য ট্রেন, রাকিব, ঝুম বড়বার ঝুম ইত্যাদি । জুবিন গার্গ ২০১৭ তে "মিশন চাইনা" নামের একটি অসমীয়া চলচ্চিত্র মুক্তি দেন। এরপর ২০১৯ সালে জুবিন গর্গ এর পরিচালিত ও অভিনীত "কাঞ্চনজঙ্ঘা" নামের একটি অসমীয়া চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়েছেন, এবং এই চলচ্চিত্র অসম ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথেও বিদেশেও মুক্তি দিয়েছেন জুবিন।
মৃত্যু
২০২৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনার পর জুবিন গার্গের মৃত্যু হয়। তিনি জলের নিচে শ্বাসকষ্টের সমস্যার সম্মুখীন হন, সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়ার পরও স্থানীয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর অনুষ্ঠানে পরিবেশনের কথা ছিল।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.