তরিকুল ইসলাম (Tariqul Islam) ছিলেন একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ। তিনি দ্বিতীয় খালেদা মন্ত্রিসভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৬ষ্ঠ ও ৮ম জাতীয় সংসদে যশোর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন।

তরিকুল ১৯৬২ সালে যশোরের মাইকেল মধুসূদন কলেজের জরাজীর্ণ শহীদ মিনার মেরামত করেন এবং তৎকালীন সামরিক সরকারের হাতে গ্রেফতার হন। তিনি ১৯৬৩-১৯৬৪শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ইউনিয়ন প্রার্থী হিসেবে মাইকেল মধুসূদন কলেজের সাতরা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উদ্ধৃতি প্রয়োজন আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের জন্য ১৯৬৮ সালে রাজশাহী ও যশোরে নয় মাস কারাবরণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ১৯৬৮ সালের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি আবার কারাবরণ করেন।

১৯৭০ সালে তিনি আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে তিনি প্রথমে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং পরে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির ৭৬ সদস্যের একজন। তিনি যশোর জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৮০ সালে, তিনি জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি যুগ্ম মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পঞ্চম কাউন্সিলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় খালেদা মন্ত্রিসভায় তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইসলামের দুই ছেলে শান্তনু ইসলাম সুমিত ও অনিন্দ ইসলাম অমিত। অমিত বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। ইসলাম ৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। তিনি কিডনির জটিলতা ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।