photo

Shirshendu Mukhopadhyay

Writer
Date of Birth : 02 November, 1935 (Age 89)
Place of Birth : Bikrampur
Profession : Writer
Nationality : Indian
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প ও উপ্যনাস লিখে থাকেন। ১৯৮৮ সালে তার মানবজমিন উপ্যনাসের জন্য সাহিত্য একডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ছোটদের জন্য লেখা উপ্যনাসের মধ্যে মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, গোসাঁই-বাগানের ভূত জনপ্রিয়।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত বিভাজনের সময়ে তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। এই সময় রেলওয়েতে চাকুরিরত পিতার সঙ্গে তিনি আসাম, পূর্ববঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তার জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ির ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনে অষ্টম শ্রেণী অব্দি পড়েন, তারপর তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।

গ্রন্থতালিকা

তার প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ঘুণ পোকা নামক তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি। শবর দাশগুপ্ত তার সৃষ্ট অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র।

পুরস্কার

বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৮৫) - শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য।
আনন্দ পুরস্কার (১৯৭৩ ও ১৯৯০)
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৮)- মানবজমিন উপন্যাসের জন্য।
বঙ্গবিভূষণ (২০১২)
সাহিত্য অকাদেমি ফেলো নির্বাচিত (২০২১)

Quotes

Total 13 Quotes
যাকে বোঝা যায় না; যে কথা কম বলে এবং যার অনেক কাজই স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাখ্যা করা যায় না, তার সম্পর্কে আশেপাশের লোকের খানিকটা ভয় থাকে। - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রেম একটি লাল গোলাপ - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
আমি যে তাকে ভালোবাসি তা ওর রূপের জন্যও নয়, গুণের জন্যও নয়। ভালো না বেসে থাকতে পারি না বলে বাসি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
বেশির ভাগ মানুষেরই অভ্যাস হল, যেখানে বলার কথা কিছু নেই, সেখানেও অকারণে কথা বলে যায়, প্রয়োজন থাক বা না থাক।
আকাশ কতটা পরিষ্কার থাকলে, কতখানি জ্যোৎস্না উঠলে কতগুলো গাছপালা এবং কতখানি মাঠ-ময়দান থাকলে কতটা সৌন্দর্যের সৃষ্টি হবে, তার পিছনেও কি অঙ্ক নেই?
কোন কোন স্বামী-স্ত্রী বোধহয় তাদের সম্পর্কের বিষকেই বেশী উপভোগ করে। মধুর কথা তারা কানে নেবে না।
পঞ্চাশ ছোঁয়া বয়সটা বড় মারাত্মক ভাটির টান যখন লাগে মানুষ তখন ভোগসুখের জন্য পাগল হয়ে যায়, জানেতো আর বেশি সময় নেই হাতে, শরীরের ক্ষমতা আর বেশিদিন থাকবে না! ণত্ব ষত্ব জ্ঞান হারিয়ে তখন সে কেবল খাই খাই করে খাবলাতে থাকে চারপাশের ভোগ্যবস্তুকে চুলে কলপ দেয় রঙ চঙে জামা গায়ে চড়ায়, সেন্ট মাখে! আর স্ত্রী? স্ত্রীর করার কি বা থাকে বিষচক্ষে দেখে যেতে হয়! দু’ জনার মাঝে অসীম ব্যবধান তৈরি হয়!
যখন কোন মেয়ে দু’বেলা খাবার, মাথার ওপরে একটু ছাদ এর বেশি আরো কিছু আছে তা বুঝতে শিখে, তবেই তার ভেতরে জন্ম নেয় লজ্জা আর রোমাঞ্চ!
আলাপ করতে একটা টিউনিং দরকার, টিউনিং না থাকলে কথা আসেনা।
ব্যাধিময়, ব্যথাময়, নশ্বর এই শরীর নিয়ে মানুষের কত না ভাবনা, কিন্তু শরীরখানা দেওয়া হয়েছে এটাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য, বসিয়ে বা আরাম করার জন্য না!