photo

Shibram Chakraborty

Writer
Date of Birth : 13 December, 1903
Date of Death : 28 August, 1980 (Aged 76)
Place of Birth : Chanchal, Malda
Profession : Writer
Nationality : Indian
শিবরাম চক্রবর্তী (১৩ ডিসেম্বর ১৯০৩ – ২৮ আগস্ট ১৯৮০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি রম্যলেখক। কবিতা-রচনা দিয়ে তাঁর সাহিত্য-জীবনের শুরু। প্রথম কবিতা বেরোয় ভারতী পত্রিকায়। প্রথম প্রকাশিত বই দুটিও — 'মানুষ' ও 'চুম্বন' — কবিতার। দুটিই প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তারপর অজস্র লেখা লিখেছেন। প্রবন্ধ, নাটক এবং তুলনাহীন অজস্র হাসির গল্প। লিখেছেন ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা ও ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর নামের অনন্য স্মৃতিকথামূূলক দূটি বই। প্রবন্ধের বই: মস্কো বনাম পন্ডিচেরি ও ফানুস ফাটাই। নাটকের গ্রন্থ: যখন তারা কথা বলবে। বিচিত্র জীবন ছিল তার। তিনি রাজনীতি করেছেন, জেল খেটেছেন, রাস্তায় কাগজ ফেরি করেছেন, ফুটপাথে রাত্রিবাস করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, আজীবন মেস-জীবন যাপন করেছেন।

জন্ম ও বংশপরিচয়

শিবরাম চক্রবর্তীর জন্ম ১৯০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কলকাতার দর্জিপাড়ায়, নয়ানচাঁদ দত্ত লেনে, তাঁর দাদামশাইয়ের বাড়িতে। তাঁর বাবা শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী ছিলেন মালদহের চাঁচলের রাজ পরিবারের সন্তান৷ যদিও তাঁদের আদি নিবাস ছিল মুর্শিদাবাদের চোঁয়ায়৷ শিবরামের মায়ের নাম ছিল শিবরানি। শিবরামের আরো দুই ভাই ছিল শিবসত্য ও শিবহরি নামে।

ব্যক্তিজীবন

শিবরাম চক্রবর্তীর জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর (বাংলার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩১০) কলকাতায় মাতুলালয়ে। বিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সংস্পর্শে আসেন। এর জন্য তাকে কারাবাসও করতে হয়। এই সময় তিনি বিজলী ও ফরওয়ার্ড পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ছিলেন যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক। তার জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটেছে উত্তর কলকাতার মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের একটি মেসবাড়িতে। তিনি অনাড়ম্বর জীবন কাটাতেন। শেষ জীবনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার জন্য মাসোহারার ব্যবস্থা করেছিলেন।

উপন্যাস

তার সর্বাধিক আলোচিত উপন্যাস বাড়ি থেকে পালিয়ে। লিখেছেন বাড়ি থেকে পালিয়ের পর, কলকাতার হালচাল, বর্মার মামা, মনের মত বৌ, মস্কো বনাম পন্ডিচেরী সহ আরও বেশ কিছু বই। তার অমর সৃষ্টি হর্ষবর্ধন গোবর্ধনের গল্প যা আজো পাঠকমহলে সমানভাবে সমাদৃত। প্রবন্ধ, গল্পের পাশাপাশি তিনি কিছু রম্য গোয়েন্দাকাহিনিও লিখেছিলেন। তার গোয়েন্দার নাম কল্কেকাশি।

জীবনের শেষ পর্যায় এবং মৃত্যু

অনেক অবহেলার কারণে তাঁর জীবনের বহু লেখা সযত্নে সংরক্ষণ করতে পারেন নি তিনি। তাঁর বহু মূল্যবান লেখা অবহেলায় খুঁইয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর জীবনটাও কেটেছে চরম অবহেলায়। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি গুরুতর আর্থিক সমস্যায় পড়েন। নিদারুণ অর্থকষ্টে তার জীবনটা ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে তাঁর আর আপন বলে কিছুই ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে মাসিক ভাতা প্রদান করে। তিনি ১৯৮০ সালে কলকাতায় মারা যান।

Quotes

Total 10 Quotes
ছেলেবেলার বন্ধুরা মেয়েদের ভালোবাসার মতই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ভাবতে অবাক লাগে একেক সময়। মনে হয় যে, বুঝি একরকম ভালোই। তাদের নির্মেদ দেহ আর নির্মেঘ মন নিয়ে কৈশোরের নিবিড় মাধুর্যে মিশিয়ে নিটোল মুক্তোর মতই চিরদিনের স্মৃতির মধ্যে অক্ষয় থেকে যায় তারা - পরে যে কখনও আর ফিরে দেখা দেয় না তাতে জীবনের মতই সুমধুর থাকে, পলে পলে দন্ডে দন্ডে অবক্ষয়ে টাল খায় না, ক্ষয় পায় না। - শিবরাম চক্রবর্তী
ভালোর ভালো বলে এই দুনিয়ায় কিছুই তো নাই। মন্দের ভালোই সত্যিকারের ভালো। তাই নিয়েই খুশি থাকতে হয়। - শিবরাম চক্রবর্তী
বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই। প্রাণের বন্ধু। তারপর আর না। আর না? সারা জীবনে আর না? জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়। তারা দু'রকমের। এনিমি আর নন-এনিমি। নন-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয় - শিবরাম চক্রবর্তী
বাবা নামক মরুভূমিতে মা-ই একমাত্র ওয়েসিস।
চুমু যে খায়, সে আবার খাওয়ায়ও। সন্দেশের মতন মধুর হলেও, চুমুতে আর সন্দেশে তফাৎ আছে। ও-জিনিস একলা খাবার না। একা একা খাওয়া যায় না, অপরকে খাইয়ে খেতে হয়।
শুধু এইখেনেই আমরা সবাই পরমুখাপেক্ষী। এই চুমুর বেলায়। কেবল এই KISS-এর তোয়াক্কায়, —নইলে কার কিসের তোয়াক্কা
মূর্খতার দ্বারা যদি স্বরাজ হ'ত তাহলে দেশের ত্রিশ কোটি লোকের মধ্যে ঊনত্রিশ কোটিই তো আকাট্, কোনদিন স্বরাজ হয়ে যেত তবে! মুখ্যু হয়ে থাকলে ভাত আসেনা স্বরাজ আসে
বহুবছরের কঠিন পরিশ্রমের পর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি ।
নতুন-বছর' 'নতুন-বছর' বলে খুব হইচই করার কিস্যু নেই।
যখনই কোনো নতুন বছর এসেছে, এক বছরের বেশী টেকেনি।