
Samina Chowdhury
Bangladeshi singer
Date of Birth | : | 28 August, 1966 (Age 58) |
Place of Birth | : | Dinajpur, Bangladesh |
Profession | : | Singer |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
|
সামিনা চৌধুরী (Samina Chowdhury) একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বেশিরভাগই আধুনিক ও শাস্ত্রীয় গান গেয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলির মধ্যে রয়েছে - জন্ম থেকেই জ্বলছি মাগো, আমার বুকের মধ্যখানে, আমার দুই চোখে দুই নদী, একবার যদি কেউ, কবিতা পড়ার প্রহর, ফুল পথে ফুল ঝরে । তিনি ২০০৫ সালে এনটিভিতে প্রচারিত ক্লোজআপ ওয়ান সঙ্গীত প্রতিভা প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও তিনি চ্যানেল আই এর "ক্ষুদে গান রাজ" , এনটিভির "ক্লোজআপ ওয়ান", মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর "ভালবাসি বাংলাদেশ" এর বিচারক সহ আরও অন্যান্য কিছু আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠানের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামিনা চৌধুরী বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। তার অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি, সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০০৬), শ্রেষ্ঠ মহিলা কণ্ঠশিল্পী হিসাবে বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৪) এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা (২০০৫) এর জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।তার বাবা বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাহমুদুন্নবী এবং বোন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী।
প্রাথমিক জীবন
চৌধুরী মাহমুদুন নবী ও রশিদা চৌধুরী দম্পতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সামিনা চৌধুরী।ছোটবেলায় তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তার পরিবারে তার বাবার পাশাপাশি তার বোন বোন ফাহমিদা নবী , এবং ভাই পঞ্চম ও সঙ্গীতজ্ঞ। তার বাবার প্রেরনায় তিনি একটি প্লেব্যাকে সমসাময়িক গায়ক হিসাবে উন্নতি লাভ করেন। তিনি নতুন কুঁড়ি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ১৯৭৭ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন।
কর্ম জীবন
নন্দিত ও অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী সামিনা চৌধুরীর সংগীত জীবনের শুরুটা খুব ছােট বেলায়। মূলত বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে তার সংগীত জীবনের পথ চলা শুরু।১৯৭৭ সালে, ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া ছােট্ট একটি মেয়ে সামিনা চৌধুরী। সেই বয়সেই নতুন কুঁড়ির সংগীত প্রতিযােগীতায় দেশাত্ববােধক গানে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ছােট বেলার সেই অর্জন এখনাে তার প্রেরণার উৎস বলে মনে করেন। ১৯৮১ সালে প্রথম প্লেব্যাকের মাধ্যমে সামিনা চৌধুরীর সংগীত জীবনের গল্পটা শুরু। ১৯৮১ সালে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রথম গান জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো যা "জন্ম থেকে জ্বলছি" চলচ্চিত্রের জন্য গেয়েছিলেন। সেই থেকে একের পর এক সফলতা তার মুঠোবন্দি হয়েছে, তার গাওয়া গানগুলাে পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তার সংগীতে অবদান বাংলা গানকে সমৃদ্ধ এবং যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। এর পরে তিনি অডিও জগতে আরও কিছু গান গেয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি "সাত ভাই চম্পা" চলচ্চিত্রের জন্য সাত ভাই চম্পা জাগো রে শিরোনামে গান গেয়েছেন। তারপর তিনি প্লেব্যাক গায়ক থেকে একটি বিচ্ছেদ গ্রহণ করেন এবং স্টুডিও অ্যালবামের উপর মনোনিবেশ করেন এবং কিছু বিখ্যাত গান সংগীত জগতে যুক্ত করেছেন, যেমনঃ কবিতা পোড়ার প্রহর এসেছে, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, ঐ ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায় ইত্যাদি।পরবর্তীতে এন্ড্রু কিশোর এর সাথে জুগল হিসাবে "তোমার গরুর গাড়িতে আমি যাবো না" গানের মাধ্যমে আবার প্লেব্যাকে ফিরে আসেন। আমার বুকের মধ্যখানে, দূর দ্বীপবাসিনী, হও যদি ঐ নীলাকাশ, হৃদয়ে লিখেছি তোমারি নাম, আমার মাঝে নেই এখন আমি তার অন্যতম দর্শক প্রিয় গান। ২০০৯ সালে তিনি রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম বের করেন। তিনি নিঃস্বার্থ ভালবাসা চলচ্চিত্রে দুইটি গান গেয়েছেন, "যমুনার জল" এবং "স্বপ্ন স্বপ্ন"।
সামিনা চৌধুরী সংগীত জীবনের শুরু থেকেই গানের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনেক বেশি সচেতন। গানের গুনগত মানের উৎকতায় সামিনা চৌধুরীর গানগুলাে হয়েছে শ্রোতাপ্রিয়। নকল সুরের গানের ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই ছিলেন প্রতিবাদ মুখর।
সামিনা চৌধুরী "জুলিয়াস সিজার" এবং "এই সেই" রেডিও নাটকে অংশ নিয়েছেন। তিনি সংবাদ পাঠিকা হিসাবেও কাজ করেছেন।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.