photo

Robiul Islam

Cricketer
Date of Birth : 20 Oct, 1986
Place of Birth : Satkhira District, Bangladesh
Profession : Cricketer
Nationality : Bangladeshi
Social Profiles :
Facebook
Twitter
রবিউল ইসলাম (Robiul Islam) (জন্ম: ২০ অক্টোবর, ১৯৮৬) খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলায় মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলে থাকেন। এছাড়াও, তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। ৩ মে, ২০১৩ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন তিনি। স্কোরশীটে কখনোবা তিনি তার ডাক নাম শিপলু-রূপে পরিচিতি পান। ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন
২৭ মে, ২০১০ তারিখে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ড সফরে গেলে লর্ডসে তিনি তার প্রথম টেস্ট অভিষেক ঘটান। ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি রবিউল। কিন্তু, তার বোলিংয়ের সহায়তায় একটি রান আউট হয়েছিল। পরের টেস্টের জন্য তাকে দলে নির্বাচিত করা হয়নি।

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জুলাই, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। প্রতিপক্ষ দলটি ছয় বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলটি চৌদ্দ মাসেরও অধিক সময় কোন টেস্ট খেলেনি। কিন্তু প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ বিজয়ী হবে। কিন্তু এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়, যখন বাংলাদেশ টেস্টটিতে মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে হেরে যায়। শফিউল ইসলামের সাথে শুরুতেই বোলিং করতে এসে তিনি তিন উইকেট লাভ করেন। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করে প্রথম উইকেট শিকার করেন।

অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোচ স্টুয়ার্ট ল তাকে বাদ দেন। প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে দুইজন সিম বোলার ও নাজমুল হোসেন, রুবেল হোসেন এবং শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে ভাল ফলাফল অর্জিত হবে।

সাফল্যগাঁথা
১৭ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। খেলায় বিপক্ষের ১৭ উইকেটের মধ্যে তিনি একাই ৯ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, নিজের সেরা বোলিং ছিল ৬/৭১। কিন্তু তার দল পুনরায় হেরে যায়।

দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি সফলতা দেখান। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২৪ রান ও ৫/৮৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৪ ও ১/৫৩ লাভ করেন। এ নৈপুণ্যের ফলে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ১৪৩ রানের ব্যবধানে পরাভূত করে টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করে। ফলে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রথম বাংলাদেশী পেস বোলার হিসেবে যে-কোন টেস্ট সিরিজে শতাধিক ওভার বোলিং করার সক্ষমতা দেখান। তার পূর্বে ২০০৩ সালে খালেদ মাহমুদ ৩-টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ ওভার বোলিং করেছিলেন।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.