রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (Riaz Uddin Ahmed) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক যিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে, তিনি সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর নরসিংদীর মনোহরদীর নারান্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং ১৯৮২ সালে এলএলবি পাস করেন। তার একমাত্র ছেলে মাশরুর রিয়াজ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান।

১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অবজারভারে যোগদানের আগে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান অবজারভার থেকে পদত্যাগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর, তিনি আবার অবজারভারে যোগ দেন এবং ১৯৯০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করেন।

তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ছিলেন। তিনি ১৯৮৬  থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।

তিনি মে ১৯৯২ সালে সার্ক ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট দ্বারা গঠিত দক্ষিণ এশিয়া সমন্বয়কারী সাংবাদিক পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তিনি ডেইলি স্টারের উপ-সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সালে, তিনি ডেইলি টেলিগ্রাফের সম্পাদক ছিলেন। তিনি নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে, তিনি সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে:-

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন, রিয়াজকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে তিনি মারা যান।