photo

Rashid Askari

Author
Date of Birth : 01 Jun, 1965
Place of Birth : Askarpur, Bara Hazratpur
Profession : Author
Nationality : Bangladeshi
ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী (লেখক নাম: রাশিদ আসকারী; জন্ম: ১ জুন ১৯৬৫) বাংলাদেশী লেখক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক, রাজনীতি বিশ্লেষক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ১২তম উপাচার্য ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন
১৯৬৫ সালের ১ জুন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার আসকারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মোঃ আবদুল মান্নান ও মাতার নাম সেতারা বেগম। স্ত্রীর নাম মাসুমা ফেরদৌস এবং দুই সন্তান হুমায়ুন রাশিদ আসকারী ও রোজা আসকারী।

শিক্ষাজীবন
আসকারী ১৯৮০ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ১ম বিভাগে এস.এস.সি এবং ১৯৮২ সালে একই বোর্ডে ৫ম স্থানসহ ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি পাশ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে ১৯৮৫ সালে বি.এ (অনার্স) এবং ১৯৮৬ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ভারতের পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মজীবন
তিনি ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেন এবং ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রফেসর পদে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালের কলা অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত সৌদি আরবের বাদশাহ খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর এবং ইংরেজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের  মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক ও ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগে একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট প্রফেসর আসকারী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালের ইতিহাসে প্রথমবারের মত উপাচার্যের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ সমাপ্ত করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অধীনস্থ  ‘ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন এন্ড ট্রান্সলেশন’ উপকমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪-এ প্রদত্ত জাতিসংঘ ভাষণ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।

সাহিত্য
রাশিদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখি করেন। তিনি ২টি সম্পাদনা গ্রন্থসহ মোট ৮টি গ্রন্থ এবং শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম রচনা করেছেন। তবে পাঠকের কাছে ইংরেজি ভাষার প্রাবন্ধিক হিসেবে অধিক পরিচিত। বিশ্বকবি রবীন্দ্রানাথ ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবার্ষিকীতে ঠাগোর'স রাইটিং ইন ইংলিশ নামে তিন খণ্ডের বই সম্পাদনা করেন। ২০২১ সালে বাংলা একাডেমীর বইমেলায় প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই আমার পিতা আমার বাংলাদেশ-এর অনুবাদ মাই ফাদার মাই বাংলাদেশ সম্পাদনা করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বহুভাষিক ফ্লিপবুক জার্নাল 'দ্য আর্চার' সম্পাদনা করেন। তিনি বলেন “উপাচার্য সত্ত্বার চাইতে লেখক সত্ত্বা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ”। একটি আন্তর্জাতিক লেখক জরিপে বাংলাদেশের সেরা ১০ উদীয়মান ইংরেজি লেখকের তালিকাভুক্ত হন। জরিপটি করেছে ‘দ্য অথার সাকসেস কোচ’ নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ড প্রবাসী লেখিকা তাহমিমা আনাম, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাশিদ আসকারী।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.