![photo](/storage/2023/05/05/people_photos/pritilata-waddedar-6454dc5ff0690.jpg)
Pritilata Waddedar
Date of Birth | : | 05 May, 1911 |
Date of Death | : | 24 September, 1932 (Aged 21) |
Place of Birth | : | Dhalghat, Bangladesh |
Profession | : | School Teacher |
Nationality | : | Indian, British Indian |
Pritilata Waddedar was an East Bengali revolutionary nationalist from the Indian subcontinent who was influential in the Indian independence movement. After completing her education in Chittagong and Dhaka, she attended Bethune College in Kolkata.
বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১৯১১ সালে চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জগবন্ধু ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভার হেড ক্লার্ক। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মাস্টারদা সূর্যসেন-এর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে পরিচালিত সশস্ত্র সংগ্রামে প্রীতিলতাকে প্রথম আত্মোৎসর্গকারী নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রীতিলতা চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
১৯৩০ সালে আইএ পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করেছিলেন। এই ফলের জন্য মাসিক ২০ টাকার বৃত্তি নিয়ে কলকাতার বেথুন কলেজে বিএ পড়তে যান। প্রীতিলতা ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়লেও দর্শন বিষয়ে অনার্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে অনার্স পরীক্ষা তার আর দেয়া হয়নি।
১৯৩২ সালে ডিসটিংশান নিয়ে তিনি বিএ পাস করেন। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় তিনি ও তার সঙ্গী বীণা দাশগুপ্তের পরীক্ষার ফল স্থগিত রাখা হয়। অবশেষে তাদেরকে ২২ মার্চ, ২০১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে মরণোত্তর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
১৯২৪ সালে বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স নামে এক জরুরি আইনে বিপ্লবীদের বিনা বিচারে আটক শুরু হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে বিপ্লবীদের অস্ত্রশস্ত্র, সাইকেল ও বইপত্র গোপনে রাখার ব্যবস্থা করতে হতো। প্রীতিলতার নিকটাত্মীয় পূর্ণেন্দু দস্তিদার সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কিছু গোপন বই প্রীতিলতার কাছে রাখেন। তখন প্রীতিলতা দশম শ্রেণির ছাত্রী। লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি পড়েন 'দেশের কথা', 'বাঘা যতীন', 'ক্ষুদিরাম' আর 'কানাইলাল'। এই বইগুলো প্রীতিলতাকে বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে এবং তখন তিনি দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদারের কাছে বিপ্লবী সংগঠনে যোগদান করার গভীর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
১৯২৪ সালে বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স নামে এক জরুরি আইনে বিপ্লবীদের বিনা বিচারে আটক শুরু হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে বিপ্লবীদের অস্ত্রশস্ত্র, সাইকেল ও বইপত্র গোপনে রাখার ব্যবস্থা করতে হতো। প্রীতিলতার নিকটাত্মীয় পূর্ণেন্দু দস্তিদার সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কিছু গোপন বই প্রীতিলতার কাছে রাখেন। তখন প্রীতিলতা দশম শ্রেণির ছাত্রী। লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি পড়েন 'দেশের কথা', 'বাঘা যতীন', 'ক্ষুদিরাম' আর 'কানাইলাল'। এই বইগুলো প্রীতিলতাকে বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে এবং তখন তিনি দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদারের কাছে বিপ্লবী সংগঠনে যোগদান করার গভীর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
১৯২৯ সালে প্রীতিলতা দীপালি সংঘের সদস্য হন এবং লাঠি খেলা, ছোরা খেলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে কলকাতার বেথুন কলেজে পড়ার সময় প্রীতিলতা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। গড়ে তোলেন এক বিপ্লবী চক্র, যেখানে অনেক মেয়ে সদস্য যোগ দেয়। তখনও গোয়েন্দা বিভাগ মেয়েদের সন্দেহ করত না বলে মাস্টারদার অনুমতি পাওয়ার পর নারীদের বিপ্লবের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করা হয়।
বিএ পরীক্ষা শেষে মাস্টারদার নির্দেশে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসেন তিনি। ১৯৩২ সালে চট্টগ্রাম অপর্ণাচরণ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৩২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কাট্টলী গ্রামে এক গোপন বৈঠকে মাস্টারদার নির্দেশে প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্তকে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব দেয়া হয়। এটা সেই ক্লাব, যেখানে একটি সাইনবোর্ডে লেখা ছিল- কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। পুরুষের বেশে ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শনে গেলে পথে পাহাড়তলীতে কল্পনা দত্ত ধরা পড়েন। তখন প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের পরিকল্পনা নেয়া হয়।
বীরকন্যা প্রীতিলতার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি বিপ্লবী দল ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সফল হয়। আক্রমণ শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ অবস্থায় ধরা পড়ার আগে প্রীতিলতা দেশবাসীর কাছে আত্মত্যাগের আহ্বান রেখে পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে কি বলা হয়?
তিনি "বাংলার প্রথম নারী শহীদ" হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রীতিলতা সূর্য সেনের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। তিনি পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের সশস্ত্র আক্রমণে, ১৫ জনের একটি বিপ্লবী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত, এই সময়ে একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়।
বীরকন্যা প্রীতিলতা আত্মাহুতি দিবস কবে?
তিনি "বাংলার প্রথম নারী শহীদ" হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রীতিলতা সূর্য সেনের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। তিনি পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের সশস্ত্র আক্রমণে, ১৫ জনের একটি বিপ্লবী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত, এই সময়ে একজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়।
অগ্নিকন্যা নামে কে পরিচিত?
কল্পনা দত্ত (জন্ম: ২৭ জুলাই, ১৯১৩ - মৃত্যু: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
চট্টগ্রাম অভ্যুত্থান গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
কল্পনা দত্ত রচিত গ্ৰন্থ
'চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণকারীদের স্মৃতিকথা' কলকাতা থেকে প্রকাশিত তার লেখা গ্রন্থটি এক ঐতিহাসিক দলিল। ১৯৯০ সালে ''চট্টগ্রাম অভ্যুত্থান'' নামে ভারত সরকারের উদ্যোগে তার লেখা আর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়'।
সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা কি ছিল?
উনিশ শতকের শেষার্ধ থেকে ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নারীসমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্ করা যায় । ভগিনী নিবেদিতা ভারতের বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যোগাতেন । যুগান্তর ও অনুশীলন সমিতির সাথে তার প্রত্যক্ষ যোগ ছিল । ভারতের বিপ্লববাদের জননী মাদাম কামা ভারতের বাইরে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন সংগঠনে ভূমিকা নেন ।