
Monir Khan
Bangladeshi Singer
Date of Birth | : | 01 August, 1972 (Age 52) |
Place of Birth | : | Jhenaidah, Bangladesh |
Profession | : | Singer |
Nationality | : | Bangladeshi |
মনির খান (Monir Khan) বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৯৬ সালে তোমার কোন দোষ নেই নামক একক অ্যালবাম নিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে পদার্পণ করেন। সুদীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তিনি ৪২টি একক অ্যালবাম এবং ৩০০ এর অধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম প্ৰকাশ করেছেন। তিনি ৩ বার শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) অর্জন করেন, বিজয়ী চলচ্চিত্রের নাম যথাক্রমে: প্রেমের তাজমহল (২০০১), লাল দরিয়া (২০০২) ও দুই নয়নের আলো (২০০৫)।
প্রারম্ভিক জীবন
মনির খান ১৯৭২ সালের ১ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ মাহবুব আলী খান একজন স্কুল শিক্ষক এবং মাতা মোছা. মনোয়ারা খাতুন একজন গৃহিণী। এক বোন ও চার ভাই এর মধ্যে মনির খান দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে প্রথম।
মনির খানের শিক্ষাজীবনের শুরু নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে হাকিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর বহরাম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৮৭ সালে এখান থেকে মেট্রিক এবং ১৯৯০ সালে কোটচাঁদপুর ডিগ্রী কলেজে থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৯২ সালে ঐ একই কলেজ থেকে তিনি ডিগ্রী পাস করেন।
গুণী এই শিল্পীর বাল্যকাল কেটেছে নিজ গ্রামেই। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা, ছোটাছুটি, পুকুরে সাঁতারকাটা আর মাছ ধরা সবমিলিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন মনির খান। এত কিছুর মধ্যেও ছোট বেলা থেকেই তার গানের প্রতি একটা সহজাত আকর্ষণ ছিল। স্থানীয় অনেক গুরুজনদের কাছে গান শিখেছেন। তবে সঙ্গীতের হাতেখড়ি হয় মূলত রেজা খসরুর কাছে। পরবর্তীতে স্বপন চক্রবর্তী, ইউনুস আলী মোল্লা, খন্দকার এনায়েত হোসেনসহ আরও কয়েকজন গুরুজনের কাছে তিনি গানের তালিম নিয়েছেন। বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা খন্দকার এনায়েত হোসেন ১৯৮৮ সাল থেকে কালিগঞ্জ গুঞ্জন শিল্পীগোষ্ঠি একাডেমীতে ১৫ দিন পর পর এসে গান শেখাতেন। সঙ্গীতের ভিত্তি গড়ে উঠেছে মূলত খন্দকার এনায়েত হোসেনের হাতেই।
সঙ্গীত জীবন
১৯৮৯ সালে মনির খান খুলনা রেডিওতে অডিশন দিয়ে আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত তিনি এখানে একজন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে গান করেন।
১৯৯১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এখান থেকে এন. ও. সি নিয়ে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকাতে আসার পরও তিনি বেশ কিছু গুরুজনদের কাছে গান শিখেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবুবক্কার সিদ্দিক, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস, সালাউদ্দীন আহমেদ, অনুপ চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে। তিনি যখন যার মধ্যে ভাল কিছু পেয়েছেন সেগুলি নিজের আয়ত্বে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
এইভাবে বেশ কিছুদিন যাবার পর তিনি অডিও মার্কেটে একটি স্থান নেবার কথা ভাবলেন। চিন্তা অনুযায়ী কাজ শুরু করলেন। মূলত কুটি মনসুরের উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে মনির খান বাজারে নিজের গাওয়া গানের অ্যালবাম বের করার সিদ্ধান্ত নিলেন। জনপ্রিয় সুরকার, গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক মিল্টন খন্দকারের সান্নিধ্য পাবার চেষ্টা করলেন। মিল্টন খন্দকার মনির খানের গান শুনে খুশী হয়ে তার কণ্ঠে গাওয়া গানের একটি ক্যাসেট বের করতে রাজি হলেন। ক্যাসেট বের করার উদ্দেশ্যে মনির খান আরও ভাল ভাবে গান চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ শিল্পী হিসেবে তৈরী করতে চেষ্টা করলেন। নিজেকে প্রস্তুত করতে মনির খানের সময় লেগেছিল ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছর।
১৯৯৬ সালে বিউটি কর্নার থেকে তার ১২টি গানের প্রথম একক অ্যালবাম তোমার কোন দোষ নেই বের হয়। অ্যালবামটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। অ্যালবামটি জনপ্রিয়তা পাবার পর মনির খান রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলেন। এরপর মনির খান আর থেমে থাকেননি। তিনি একের পর গানের অ্যালবাম বের করেছেন এবং প্রতিটি অ্যালবামে সফলতা পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
মনির খান ২০০১ সালে কিশোরগঞ্জের মেয়ে তাহামিনা আক্তার ইতির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক কন্যা সন্তান মুসফিকা আক্তার (মৌনতা) এবং পুত্র মোসাব্বির খান মুহূর্ত এর পিতা।
অ্যালবাম
মনির খানের ৪৩টি একক অ্যালবাম এবং ৩০০ এর অধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০০টির বেশি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.