মাকসুদুল আহসান (Maksudul Ahsan) একজন বাংলাদেশী শিল্পী এবং কবি।

আহসানের জন্ম চাঁদপুরে। 1987 সালে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন। 1989 সালে, তিনি সেখানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 1992 সালে, তিনি একাডেমি অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন।

1989 সালে তিনি খুলনার আর্ট কলেজের শিক্ষক হন। 1991 সালে তিনি ঢাকার সাপ্তাহিক শময় সংগ্লাপের শৈল্পিক সম্পাদক হন। 1994 থেকে 2002 পর্যন্ত, তিনি দিল্লিতে (ভারত) থাকতেন এবং কাজ করতেন। 2008-2009 সালে, তিনি সাপ্তাহিক শুভবর্ণ সন্ধানের সম্পাদক ছিলেন। 2011 সালে তিনি গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট "ব্যাসিলো" (ঢাকা) এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক হন।

তিনি মাঝারিভাবে বাস্তবসম্মত পাশাপাশি বিমূর্ত চিত্র তৈরি করেন। তিনি বইয়ের চিত্র তুলে ধরেন। 1989 সালে তিনি দুটি কবিতার সংকলন, বাশ্বশী কোরোতোল এবং শৌন্দরজয়ের স্ট্যাবা প্রকাশ করেন।

শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শনী 1994 সালে ঢাকার "লা গ্যালারী" গ্যালারীতে হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি বাংলাদেশ, ভারত এবং কানাডায় 12টি একক প্রদর্শনী করেছেন এবং তার স্বদেশ ও বিদেশে 40টিরও বেশি যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন ( ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়া)। 2016 সালে, বাংলাদেশের জাতীয় চিত্রশালা তার সৃজনশীল কার্যকলাপের 25 তম বার্ষিকীতে উত্সর্গীকৃত একটি পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) দেশগুলোর শিল্পীদের অংশগ্রহণে তিনি ঢাকা, দিল্লি ও কলকাতায় আটটি শিল্প কর্মশালার আয়োজন করেন।

শিল্পীর আঁকা ছবিগুলো বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে, বাংলাদেশের জাতীয় ছবি গ্যালারিতে, শিল্পকলা একাডেমিতে (ঢাকা), শেরাটন ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে, দিল্লির রবি জৈন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, ধোমি মাল ও " কুনিকা" গ্যালারি (দিল্লি), পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, জার্মানি, ভারত, কানাডা, চীন, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে।

তিনি "জানিয়া আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র" (1987) সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাউথ এশিয়ান সোসাইটি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচারের নির্বাহী পরিচালক (2003 সাল থেকে), এবং আর্টস অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি "বন্ধন" এর সেক্রেটারি জেনারেল (2004 সাল থেকে) )