কফিল আহমেদ ( Kofil Ahmed) জন্ম 1 সেপ্টেম্বর 1962) একজন সমসাময়িক বাংলাদেশী কবি, গায়ক এবং শিল্পী। তিনি বিশেষভাবে সকল প্রাণীর জন্য গানে কাজ করার জন্য পরিচিত, একটি নতুন ধরনের বাংলা আত্মার সঙ্গীত। এ ছাড়াও তিনি জল-রঙ ও এক্রাইলিক চিত্রকর্ম তৈরি করেন।

কালিফের বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা, সাহিত্য সম্পূরক এবং অন্যান্য ধরনের অপ্রচলিত প্রকাশনা মিডিয়াতে অন্যান্য প্রকাশনা ছিল।

কফিল ১৯৬২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কফিল আহমেদ একটি প্রগতিশীল কৃষক পরিবারের অন্তর্গত। তার পিতা আবদুর রহমান মারু সরকার ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের একজন সংগঠক হিসেবে অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তি। মালেকা আক্তার তার মা। কফিল আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষাতত্ত্ব ও সাহিত্যে স্নাতক করেছেন। তিনি 'মন কহুয়ার গান এবং সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তি'-এর অন্যতম সংগঠক। তিনি ছাত্র থাকাকালীন তাঁর প্রথম কবিতার সংকলন "জংশন" প্রকাশ করেন। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল Brintok Publishers (1987)।

একজন স্ব-শিক্ষিত সঙ্গীতশিল্পী, কফিলের সঙ্গীতের কাজটি 1990-এর দশকে পুরনো চোরজাগীতিতে সুর যোগ করার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাইভ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ছিল যন্ত্র ও নাটকের যুগ যুগ ধরে। পারফরম্যান্সে তার নিজের সৃষ্টি ও আয়োজনের গানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। 2002 সালে, কফিল তার লেখা গানের প্রথম সংকলন পালকের ডানায় শক্তি, গরুর চোখে মায়া শিরোনামে ঘোড়াউতরা প্রোডাকশন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটিতে মেশ ইওর সোল উইথ অন্য ওয়ান, ফায়ার ইটার, ফায়ার স্লিপার এবং ভাঙ্গা গলায় দাঁড়ানো ঘোড়ার মতো গান রয়েছে। হাজার বছরের পুরনো গানের ধারা ও গণসঙ্গীতকে পুনরুজ্জীবিত করে বাংলা গানের নতুন গানের ধারায় অ্যালবামটিকে অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কফিলও একজন চিত্রশিল্পী যার কাজ 1980 সাল থেকে বই এবং লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। জলের রঙ এবং অ্যাক্রিলিক সহ তাঁর শিল্পকর্মগুলি বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলায় নতুন প্রবণতা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।