
Iqbal Karim Bhuiyan
Former Chief of Army Staff of the Bangladesh Army
Date of Birth | : | 02 June, 1957 (Age 67) |
Place of Birth | : | Cumilla, Bangladesh |
Profession | : | Army |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
|
জেনারেল (অবঃ) ইকবাল করিম ভূঁইয়া (Iqbal Karim Bhuiyan) হলেন বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান। তিনি ২০১২ সালের ২৫ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালের ২৫ জুন অবসর গ্রহণ করেন। সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি জেনারেল আবদুল মুবীনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ইকবাল ১৯৫৭ সালের ২ জুন তারিখে কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৩য় স্বল্পমেয়াদী কোর্সে যোগ দেন।
কর্মজীবন
ইকবাল করিম ভূঁইয়া ১৯৭৬ সালের ১৯শে মার্চ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘ সামরিক জীবনে ইকবাল বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর প্লাটুন কমান্ডার, ১১ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ, ১০৫ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের ডাইরেক্টিং স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট এবং পদাতিক ও যুদ্ধ কৌশল বিদ্যাপীঠের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।
ডিভিশন কমান্ডার হিসেবে তিনি ১৯ পদাতিক ডিভিশন, ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২০১০ সালের মে মাসে তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন। জাতিসংঘ মিশনে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তিনি সেনা প্রধান হওয়ার পূর্বে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবিরোধী অভিযান এবং 'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম'-এ সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। 'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম'-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি লিবারেশন অব কুয়েত ম্যাডেল (পদক) লাভ করেন।
পরবর্তী জীবন
২০১৫ সালের ২৫শে জুন তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সেসময়ে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সামরিক হাসপাতালের উন্নয়ন, সেনাসদস্যদের পারিবারিক পেনশন বৃদ্ধি, কমান্ডো ও প্যারাকমান্ডো সদস্যদের বিমার আওতায় আনা এবং নতুন বেতন-স্কেল প্রণয়নের ক্ষেত্রেও তিনি প্রশংসিত হন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণহত্যা চলাকালীন সময়ে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ৩১শে জুলাই তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করে প্রতিবাদ করেন। এরপর ৪ই আগস্ট অন্য আরো ৪৮জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণহত্যার প্রতিবাদ জানান । এছাড়া সেই সম্মেলন থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে ছাউনিতে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বানও জানান তারা।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.