
Gias Kamal Chowdhury
Bangladeshi journalist
Date of Birth | : | 21 July, 1939 |
Date of Death | : | 26 October, 2013 (Aged 74) |
Place of Birth | : | Feni Sadar Upazila, Bangladesh |
Profession | : | Bangladeshi Journalist |
Nationality | : | Bangladeshi |
গিয়াস কামাল চৌধুরী (Gias Kamal Chowdhury) (জন্ম:২১ জুলাই, ১৯৩৯ - মৃত্যু: ২৬ অক্টোবর, ২০১৩) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সংবাদ বিশ্লেষক। ভয়েস অব আমেরিকার ঢাকা সংবাদদাতা হিসাবে তিনি সারা বাংলাদেশে গ্রামে-গঞ্জে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিক সমাজের প্রিয়ভাজন নেতা ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে একাধিক মেয়াদে তিনি ডিইউজে, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন কূটনীতিক হিসাবে লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশর মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসন অন্দোলনে অংশ নিয়ে বহুবার কারাবরণ করেন। ২০১১ খ্রিস্টব্দে তিনি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন যা তার স্মৃতিশক্তি ও স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলার শর্শদিতে বাড়ি, ২১ জুলাই ১৯৩৯ সালের গিয়াস কামাল চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এম এ, এলএলবি, জার্নালিজমে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মস্তিষ্কে রক্ষক্রণ হলে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সাংবাদিক জীবন
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর সাংবাদিকতা শুরু হয় ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে, ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত 'ঢাকা টাইমস' পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তী কালে তিনি ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজ পত্রিকার আইন প্রদায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় যোগদান করেন। কার্যত এখান থেকেই তার সাংবাদিকতার বিকাশ।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ সহ জাতীয় গণতান্ত্রিক ও পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন । সাংবাদিক জীবনে গিয়াস কামাল চৌধুরী বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও ভয়েস অব আমেরিকাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থায় কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার শুরু ১৯৬৪ সালে। ডিইউজে, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে তার ভূমিকা ভুলে গেলে সাংবাদিকদের পাপ হবে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে তিনি পালন করে গেছেন অসাধারণ ভূমিকা। ১৯৮০-র এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রতিদিন ‘গিয়াস কামাল চৌধুরী, ভয়েজ অব আমেরিকা’র ঢাকার বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য রিপোর্টের জন্য বাংলাদেশের সংগ্রমী মানুষ আকুল হয়ে থাকতো। । তিনি শেষ জীবনে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পারিবারিক ঐতিহ্য
কুমিল্লার বিখ্যাত দারোগার বাড়িরও সন্তান তিনি। প্রাবন্ধিক মোতাহার হোসেন চৌধুরী ছিলেন তার চাচা। এই দারোগা বাড়িতে এক সময় গানের আসর বসতো গিয়াস কামাল চৌধুরী আরেক চাচা ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খশরুর তত্ত্বাবধানে। এরকম অনেক গানের আসরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে কবি বেলাল চৌধুরী এবং সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব গিয়াস কামাল চৌধুরীর স্মৃতি। গিয়াস কামাল চৌধুরীর আম্মা মুনীর আখতার খাতুন চৌধুরাণী ছিলেন কবি। তার ‘চির সুমধুর’ কাব্য প্রকাশের দিনে গিয়াস কামাল চৌধুরী আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বলেছিলেন, গৃহকর্মের ফাঁকে ফাঁকে আমার মহীয়সী জননী লিখেছেন এই কবিতাগুলো। তার ব্যক্তিজীবন যেমন মধুময় ছিল, ছিল পূতঃপবিত্র, তেমনি তার কাব্যও ধারণ করে আছে সেই নির্মল সৌন্দর্য।
জীবন ও কর্ম
তিনি একজন জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিক হিসাবে আজীবন সাংবাদিক সমাজের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সমান তালে। তিনি বাংলাদেশর মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে এ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য আজীবন তার কলম সচল রেখেছেন।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.