
Gazi Rakayet
Bangladeshi actor and director
Date of Birth | : | 15 June, 1966 (Age 58) |
Place of Birth | : | Dhaka, Bangladesh |
Profession | : | Actor, Film Director, Writter |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
|
গাজী রাকায়েত হোসেন (Gazi Rakayet) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। নাট্য অভিনয় দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হলেও পরে তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নদীর নাম মধুমতী (১৯৯৫)। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক খেলাঘর (২০০৬), নাট্যধর্মী আহা! (২০০৭), নাট্যধর্মী চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দ্য লাস্ট ঠাকুর (২০০৮), নাট্যধর্মী প্রিয়তমেষু (২০০৯), মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১) ও গেরিলা (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে তার চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক হয় মৃত্তিকা মায়া চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এখন পর্যন্ত (২০১৭ সাল) এক বছরে সর্বাধিক পাঁচটি বিভাগে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২০১৫ সালের অনিল বাগচীর একদিন চলচ্চিত্রে আইয়ুব আলী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
প্রাথমিক জীবন
গাজী রাকায়েতের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১৫ জুন বাংলাদেশের ঢাকায়। তার পিতা আবদুল আউয়াল গাজী এবং মাতা বিলকিস বেগম। তার পড়াশুনার পাঠ শুরু হয় গেন্ডারিয়ায়ায়। তিনি ১৯৮৩ সালে গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৮৫ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
গাজী রাকায়েত ১৯৯৩ সালে খ ম হারুনের পরিচালিত সংগীত পদযাত্রা নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন এবং নাটক পরিচালনা করেছেন। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে একজন আয়নাল লস্কর, সাকিন, জন্মসূত্র, চিঠি, বৃষ্টি রাতের গল্প, অনিরুদ্ধ, সাম্প্রতিক একটি আত্মহত্যার কথা উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালিত নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত খেলাঘর এবং ২০০৭ সালে এনামুল করিম নির্ঝর পরিচালিত আহা! চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি মুরাদ পারভেজ পরিচালিত চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), সাদিক আহমেদ পরিচালিত দ্য লাস্ট ঠাকুর (২০০৮), মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত প্রিয়তমেষু (২০০৯) ও আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১), নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা (২০১১) ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত জোনাকির আলো চলচ্চিত্রে চিত্রকর এস এম সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেন।
অভিনয় ও নাট্য নির্মাণের পাশাপাশি গাজী রাকায়েত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হল ঘুণ (২০০৪) এবং জীবনমৃত (২০০৫)। ২০১৩ সালে তার নিজের রচনায় নির্মাণ করেন তার প্রথম ছায়াছবি মৃত্তিকা মায়া। চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ রেকর্ড ১৭টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র ১৭টি শাখায় পুরস্কৃত হয়। এছাড়াও ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ সাতটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। গাজী রাকায়েত তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র গোর-এর চিত্রনাট্যের কাজ করছেন।
তিনি দীর্ঘ দিন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়-এর সদস্য হিসেবে মঞ্চে কাজ করেছেন। গাজী রাকায়েত "চারুনিড়ম অভিনয় স্কুল"-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়মিত নাটক মঞ্চায়ন করছে। ২০১৬ সালে গাজী রাকায়েত প্রথম ডিরেক্টরস গিল্ড নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৯৫ সালে গাজী রাকায়েত সহশিল্পী আফসানা মিমি কে বিয়ে করেন। ১৯৯৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি,১৯৯৭ সালে গাজী নায়রা শাহরিনকে বিয়ে করেন।
পরিচালনা
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
- ঘুণ (২০০৪)
- জীবনমৃত (২০০৫)
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
- মৃত্তিকা মায়া (২০১৩)
- গোর (২০২০)
সার্ক চলচ্চিত্র উৎসব
- ২০১৫ - বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (২য় স্থান) - মৃত্তিকা মায়া (২০১৩)
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.