photo

Chris Evans

American actor
Date of Birth : 13 Jun, 1981
Place of Birth : Boston, Massachusetts, United States
Profession : Actor
Nationality : American
Social Profiles :
Twitter
Instagram
ক্রিস্টোফার রবার্ট "ক্রিস" ইভানস (ইংরেজি: Christopher Robert "Chris" Evans; জন্ম: ১৩ জুন, ১৯৮১) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। ইভানস হলিউডের বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও দুটি সুপারহিরো চরিত্রে অভিনয় করার জন্যই সর্বাধিক পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেছেন: হিউম্যান টর্চ ও ক্যাপ্টেন আমেরিকা। ফ্যান্টাস্টিক ফোর (২০০৫) ও ফ্যান্টাস্টিক ফোর: দ্য রাইজ অফ দ্য সিলভার সারফার (২০০৭) ছবি দুটিতে তিনি হিউম্যান টর্চের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে মার্ভেল কমিকস চরিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকার ভূমিকায় তিনি কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন।

২০০০ সালে টেলিভিশন ধারাবাহিক অপোজিট সেক্স-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ইভানসের কর্মজীবনের সূচনা ঘটে। তারপর তিনি নট অ্যানাদার টিন মুভি, সানশাইন, স্কট পিলগ্রিম ভার্সেস দ্য ওয়ার্ল্ড, স্নোপিয়ার্সার ও মুক্তির অপেক্ষায় থাকা গিফটেড ইত্যাদি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১১ সালে তিনি স্টিভ রজার্স হিসেবে মার্ভেলের সুপারহিরো সিনেমা ক্যাপ্টেন আমেরিকা য় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের বেশকটি চলচিত্রে অভিনয় করেন। তিনি এসব চলচিত্রে 'ক্যাপ' নামেই বেশি পরিচিত এবং অ্যাভেঞ্জার দলের দলপতি হিসেবে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে ইভানস বিফোর উই গো নামে একটি ড্রামা চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এটিই ছিল তার পরিচালিত প্রথম ছবি। এই ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেন।

প্রথম জীবন
ইভানস জন্মগ্রহণ করেছিলেন বস্টন শহরে। কিন্তু তার ছেলেবেলা কেটেছিল সাডবেরি শহরে। ইভানসের মা লিসা ইভানস (প্রাক-বিবাহ নাম লিসা ক্যাপুয়ানো) কনকর্ড ইউথ থিয়েটারের একজন শিল্প-নির্দেশক এবং তার বাবা রবার্ট ইভানস একজন দন্ত-চিকিৎসক।

ইভানসের দিদি কার্লি নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত টিস স্কুল অফ ফাইন আর্টস থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি লিনকন-সাডবেরি রিজিওনাল হাই স্কুলের হাই স্কুল ড্রামা ও ইংরেজির শিক্ষিকা। তাদের বোন শানা আর ভাই স্কট ইভানস আমেরিকান ব্রডকাস্টিং কোম্পানির (এবিসি) সোপ অপেরা ওয়ান লাইফ টু লিভ-এ অভিনয় করেন। তাদের মামা মাইক ক্যাপুয়ানো ম্যাসাচুয়েটস কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট থেকে মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করেন। এই ডিস্ট্রিক্ট থেকেই ইতঃপূর্বে টিপ ও’নেইল প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ইভানসের মা ইতালীয়-আইরিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ইভানস, তার দিদি ও তাদের ভাইবোনেরা ক্যাথলিক শিক্ষা লাভ করেন।
ইভানস লিঙ্কন-সাডবেরি রিজিওনাল হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন। এরপর তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে আসেন এবং লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউশনে অভিনয় শিক্ষা করেন।

কর্মজীবন
১৯৯৯ সালে ইভানস হাসব্রোর বোর্ড গেম মিস্ট্রি ডেটে ″টাইলার″-এর মডেল হন। এই গেমের বিশেষ সংস্করণে একটি ইলেকট্রনিক ফোন ছিল। তাতে ইভানসকে গেম বক্সের মধ্যে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল।
দ্য নিউকামার্স (২০০০) ও নট অ্যানাদার টিন মুভি (২০০১) ছবিতে অভিনয় করার পর ইভানস দ্য পারফেক্ট স্কোর (২০০৪) ও সেলুলার (২০০৪) ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি শিকাগোতে দুটি ইন্ডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। এই ছবি দুটি ছিল ডার্ক উইটেনবর্নের ফিয়ার্স পিপল (২০০৫) ও লন্ডন (২০০৫)। ফিয়ার্স পিপল ছবিতে ইভানস খলনায়ক ব্রাইস চরিত্রে এবং লন্ডন ছবিতে সম্পর্কের জটিলতা-সংক্রান্ত সমস্যায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এক ড্রাগ ব্যবহারকারীর চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে কমিক বুক অবলম্বনে নির্মিত ফ্যান্টাস্টিক ফোর চলচ্চিত্রে সুপারহিরো হিউম্যান টর্চ চরিত্রে অভিনয় করেন ইভানস। ২০০৭ সালে নির্মিত উক্ত ছবির সিকোয়েল ফ্যান্টাস্টিক ফোর: রাইজ অফ দ্য সিলভার সারফার-এও তিনি একই চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই বছর তিনি ড্যানি বয়েলের কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র সানশাইন-এ (২০০৭) ইঞ্জিনিয়ার থেকে মহাকাশচারীতে পরিণত হওয়া চরিত্র মেসের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

২০০৮ সালে ইভানস স্ট্রিট কিংস চলচ্চিত্রে কিয়ানু রিভসের সঙ্গে অভিনয় করেন। সেই বছরই টেনেসি উইলিয়ামসের চিত্রনাট্য অবলম্বনে নির্মিত দ্য লস অফ আ টিয়ারড্রপ ডায়মন্ড ছবিতে ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড ও এলেন বারস্টিনের সঙ্গে অভিনয় করেন ইভানস। পরের বছর তিনি কল্পবিজ্ঞান থ্রিলার পুশ চলচ্চিত্রে ডাকোটা ফ্যানিং ও ক্যামিলা বেলের সঙ্গে অভিনয় করেন। ইভানস অ্যাকশন দৃশ্যগুলিতে নিজেই অভিনয় করেন। এতে ছবিটি নির্মাণে বেশ কয়েক সপ্তাহ লাগে এবং চলচ্চিত্রায়ণের সময় ইভানস আহতও হন।
২০১০ সালে ইভানস টেক্সাসের হিউস্টনে মার্ক কাসেন ও অ্যাডাম কাসেনের যৌথ-পরিচালনায় নির্মিত পাংচার ছবির চলচ্চিত্রায়ণের কাজ শেষ করেন। ২০১১ সালে এই ছবিটি ট্রিবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে এই উৎসবের ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অন্যতম দৃষ্টিআকর্ষণকারী প্রকল্প হিসেবে প্রথম প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।

সেই বছরই ইভানস সিলভেইন হোয়াইটের দ্য লুসারস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিটি ডিসি কমিকস ইমপ্রিন্ট ভার্টিগোর কমিক-বুক ধারাবাহিক অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। এরপর ইভানস কমিক-বুক অবলম্বনে নির্মিত আরও একটি ছবিতে অভিনয় করেন। এটি ছিল এডগার রাইট পরিচালিত স্কট পিলগ্রিম ভার্সেস দ্য ওয়ার্ল্ড (২০১০)। এই ছবিতে ইভানস রামোনা ফ্লাওয়ার্সদের সাত অনিষ্টকারী এক্সের অন্যতম এক চরিত্রে অভিনয় করেন।

২০১১ সালে ইভানস ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার ছবিতে মার্ভেল কমিকস চরিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকার ভূমিকায় অভিনয় করেন। সেই বছরই তিনি রোম্যান্টিক-কমেডি চলচ্চিত্র হোয়াট’স ইয়োর নাম্বার-এ অ্যানা ফারিসের বিপরীতে অভিনয় করেন। প্রথম দিকে এই ছবিটি চলচ্চিত্রায়ণের সময়সূচি নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। কারণ এই ছবিটি এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার ছবিটির চলচ্চিত্রায়ণের জন্য ২০১০ সালের গ্রীষ্মকালটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

ইভানস একাধিক ছবিতে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। এরপর এই চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করেন ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দি অ্যাভেঞ্জার্স ছবিতে। এরপর ইভানস দি আইসম্যান (২০১২) মিশেল শ্যাননের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবিতে ইভানস যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন, আগে সেটিতে অভিনয় করার কথা ছিল জেমস ফ্র্যাঙ্কোর। কিন্তু ফ্র্যাঙ্কো এই ছবিতে অভিনয় করা থেকে অব্যহতি গ্রহণ করেছিলেন। এই ছবিতে ইভানস একটি দীর্ঘ উইগ পরিধান করেছিলেন এবং চরিত্রটি রূপদানের জন্য তাকে দাড়িও রাখতে হয়েছিল। এরপর ইভানস দক্ষিণ কোরীয় পরিচালক বং জুন-হো পরিচালিত ইংরেজি চলচ্চিত্র স্নোপিয়ার্সার-এ (২০১৩) অভিনয় করেন।

২০১৪ সালে ইভানস ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইন্টার সোলজার ছবিতে অভিনয় করেন। ইভানস পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র বিফোর উই গো ২০১৪ সালে টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম প্রদর্শিত হয়। এরপর তিনি মিশেল মোনাগনের বিপরীতে প্লেয়িং ইট কুল (২০১৫) নামে একটি রোম্যান্টিক কমেডি ছবিতেও অভিনয় করেন।
২০১৫ সালে অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অফ আলট্রন ছবিতে আবার ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে উক্ত ছবির সিকোয়েল ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়্যার ছবিতেও ক্যাপ্টেন আমেরিকার ভূমিকায় অভিনয় করেন ইভানস।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে ইভানস বলেছিলেন, মার্ভেলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজে আরো বেশি করে মনোনিবেশ করার জন্য তিনি অভিনয় করা কমিয়ে দেবেন। তিনি এও বলেছিলেন যে, তার মনে হয় ২০১৭ সালের মধ্যেই ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে তার অভিনয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ইনফিনিটি ওয়্যার ছবিতে অভিনয়ের পরেও মার্ভেল যদি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চায়, তবে তিনি ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তার পরেও চুক্তিবদ্ধ হতে রাজি আছেন।

ব্যক্তিগত জীবন
ইভানস নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টসের ফ্যান। তিনি আমেরিকা’জ গেম: দ্য স্টোরি অফ দ্য ২০১৪ নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়ট তথ্যচিত্রে ভাষ্য দিয়েছিলেন।
ইভানস এলজিবিটি অধিকারের সমর্থক। যদিও তিনি ক্যাথলিক শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবু তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সর্বেশ্বরবাদী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। বৌদ্ধ দর্শনের প্রতিও তার বিশেষ আগ্রহ আছে।
২০১৬ সালের গোড়ার দিকে ইভানস অভিনেত্রী ও কৌতুকশিল্পী জেনি স্লেটের সঙ্গে প্রণয়সূত্রে দেখাসাক্ষাৎ শুরু করেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.