photo

Bonophool

Poet
Date of Birth : 19 September, 1899
Date of Death : 09 February, 1979 (Aged 79)
Place of Birth : Manihari, Bengal Presidency, British India
Profession : Poet
Nationality : Indian
বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় (19 জুলাই 1899 - 9 ফেব্রুয়ারি 1979) ছিলেন একজন ভারতীয় বাংলা ভাষার ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, কবি এবং চিকিৎসক যিনি বনফুল (বাংলায় যার অর্থ "বন্য ফুল") কলম নামে লিখেছেন। তিনি পদ্মভূষণ (1975) এর বেসামরিক সম্মানের প্রাপক ছিলেন।

জীবন
মুখোপাধ্যায় ১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই বিহারের পূর্ণিয়া জেলার (বর্তমানে কাটিহার জেলা) মণিহারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার মূলত বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় অবস্থিত সেহাখালা থেকে আগত। তাঁর পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন ডাক্তার এবং মা মৃণালিনী দেবী। একজন অপ্রীতিকর শিক্ষকের কাছ থেকে তার সাহিত্য কর্মকাণ্ড লুকানোর জন্য তিনি মূলত বনফুল ("বন্য ফুল") নামটি নিয়েছিলেন। তিনি হাজারীবাগ কলেজে পড়েন এবং পরে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। মেডিকেল ডিগ্রি শেষ করার পর তাকে পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পরে আজিমগঞ্জ হাসপাতালে অনুশীলন করেন এবং ভাগলপুরে প্যাথলজিস্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি 1968 সালে কলকাতার লেক টাউনে চলে আসেন এবং সেখানে 9 ফেব্রুয়ারি 1979 তারিখে মারা যান। তিনি বিখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বড় ভাই।

সাহিত্যিক কাজ
তিনি তার সংক্ষিপ্ত শব্দার্থের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত, প্রায়শই মাত্র অর্ধ-পৃষ্ঠা দীর্ঘ, কিন্তু তার কাজের অংশটি পঁয়ষট্টি বছর বিস্তৃত ছিল এবং এতে "হাজার হাজার কবিতা, 586টি ছোট গল্প (যার কয়েকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে) অন্তর্ভুক্ত ছিল 60টি উপন্যাস, 5টি নাটক, বেশ কয়েকটি একক নাটক, একটি আত্মজীবনী যার নাম Paschatpat (পটভূমি), এবং অসংখ্য প্রবন্ধ।"

Quotes

Total 13 Quotes
বাহিরের মনের কার্যকলাপ দেখিয়া ভিতরের মন কখনও হাসে, কখনও কাঁদে এবং কচ্চিৎ সায় দেয়। দুই ভাগের কলহও নিত্য নৈমিত্তিক
মরশুমি ফুলরা দূর্বার কাছে হেরেই যায়।
তিনি (ভগবান) আনন্দময়, আনন্দ ছাড়া অন্য কিছু কাম্য নেই তাঁর। তুমি যদি স্বেচ্ছায় তাঁকে বরণ করে আনন্দ পাও, তা হলেই তাঁর আনন্দ। সত্যিকারের আনন্দে ভন্ডামির কোনাে স্থান নেই, নেই জবরদস্তির। জবরদস্তির স্থান নেই বলেই বােধ হয় তিনি অন্য পথগুলােও মনােহর করেছেন, তাতেও দিয়েছেন কিছু কিছু আনন্দের খােরাক।
সংস্কৃতি কিন্তু সভ্যতার বহিরঙ্গ মাত্র নয়, সংস্কৃতি সভ্যতার অন্তরের সুষ্ঠ বিকাশ।অনবদ্য সৌন্দর্যের পায়ে লীলাময়ী প্রকৃতির কাছে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে কৃতার্থ হয় যে, সেই কবি, সেই শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, সৃষ্টিরহস্যের সারমর্ম সেই বুঝেছে।
পাখিরা যত আধুনিক হচ্ছে, তত যেন তারা মানুষের মনােহরণ করে মানুষের বন্ধুত্ব কামনা করছে। মানুষের মধ্যেও যেমন বিশ্বমৈত্রীর ভাব জাগছে ক্রমশ, মানুষ তেমন হিংসার পথ ত্যাগ করে প্রেমের পথ, আনন্দের পথ বেছে নিচ্ছে, আনন্দ দিচ্ছে, আনন্দ পাচ্ছে, পাখিদের মধ্যেও সেইরকম কিছু একটা হচ্ছে। হয়তাে। তা না হলে এত বৰ্ণ-বচিত্র্যের কোনাে মানে হয় না যেন।
ভাবনাই সিদ্ধির রূপ ধরে আসে।
নারীর মনের সঙ্গে পুরুষের সংঘাতেই মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। তুমি দেখতে পাচ্ছ।
মােহটা হচ্ছে তাঁকে চেনবার কষ্টিপাথর। কষ্টিপাথর সােনা নয়। কিন্তু সােনার পরিচয় ওর থেকেই পাওয়া যায়। যে-কোনাে জিনিসেই আমরা মুগ্ধ হই না কেন, কিছুদিন পরেই তার নেশাটা কেটে যায়। কারণ মােহ নকল আলাে, আসলে ওটা অন্ধকারই। ওই মােহই আমাদের জানিয়ে দেয় যে আমরা ভুলপথে গেছি। মন বলে ওঠে, হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোনােখানে।
চরাচরে সমস্ত কিছুই বাঁচতে চাইছে, উপভােগ করতে চাইছে নিজের অস্তিত্বকে নানাভাবে এবং তার জন্যে না করছে এমন জিনিস নেই। ভালাে-মন্দ, শীল-অশ্লীল, সভ্য-অসভ্য, হিংস্র-অহিংস্র সব কিছুই হচ্ছে সে জীবনকে সার্থক করবার প্রেরণায়।
আমাদের স্বাধীন ভারতে সংস্কৃতি ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কি? যতটা দেখতে পাচ্ছি তাতে আশার আলােক কিছুই নেই। আমরা নিজেদের সংস্কৃতি ক্রমশ হারাচ্ছি, বিদেশাগত সংস্কৃতিও আমদের বাঁচাতে পারবে না, কারণ সে সংস্কৃতিও নিঃস্ব। বিদেশের যে সংস্কৃতির আস্ফালন অহরহ শুনতে পাই তা পশুর গর্জন, সুসভ্য মানবতার সঙ্গীত নয়।