এ টি এম আজহারুল ইসলাম (ATM Azharul Islam) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন। ২০১২ সালে ২২ অগাস্ট তাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ও ২০২৫ সালের ২৭ মে তিনি উচ্চ আদালতের আপিলের ভিত্তিতে খালাস পেয়েছেন। তিনি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিলেন। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজার থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে। এর মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অপহরণের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। সে সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার বিরুদ্ধে মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন নূরজাহান বেগম মুক্তা। তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ইমরান সিদ্দিক।

একজন নারী সাক্ষ্য দেন যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আজহারুল ইসলাম রংপুর টাউন হলে এক গর্ভবতী নারীকে টানা ১৯ দিন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।