photo

Ajmal Masroor

British imam
Date of Birth : 19 Oct, 1971
Place of Birth : Sylhet District, Bangladesh
Profession : British Imam
Nationality : British
Social Profiles :
Facebook
Twitter
Instagram
আজমল মসরূর (Ajmal Masroor) (জন্ম: ১৯শে অক্টোবর, ১৯৭০) একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ ইমাম, সম্প্রচারক ও রাজনীতিবিদ। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠান ও ইসলামী টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপনার জন্য বিখ্যাত।

প্রাথমিক জীবন
মাসরুর বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরও পাঁচ ভাইবোন আছে এবং সবার মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ।

মাসরুরের যখন এক বছর বয়স, তখন তার পরিবার অভিবাসী হিসেবে ব্রিটেনে আসে। তবে মাসরুরের নয় বছর বয়সে তার পরিবার ব্রিটেন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যায়। মূলত ব্রিটেনের ভিন্ন সংস্কৃতির ফলে ইসলামের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হবে, এমন আশঙ্কায় মাসরুরের বাবা সপরিবারে বাংলাদেশে ফিরে যান। তারও ঠিক চার বছর পর পরিবারটি আবার ব্রিটেনে আসে এবং এবার লন্ডনের ইস্ট এন্ডে বসবাস শুরু করে।

আজমল মাসরুর স্মৃতিচারণ করেন যে ইস্ট এন্ডে বসবাসকালে তিনি বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন।

লন্ডনে আজমল মাসরুরের শৈশব কেটেছে শ্যাডওয়েল এলাকায়। তিনি এই অঞ্চলের কেবল স্ট্রিটে অবস্থিত ব্লুগেট ফিল্ডস স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

আজমল মাসরুরের বাবা মাসরুরের উনিশ বছর বয়সে তাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন, যে বিয়েতে মাসরুরের সম্মতি ছিল না। এ সময়ে বিয়ের জন্য তার বাবা তাকে চাপ দিতে থাকলে মাসরুর বাবার কাছে দাবী করেন যে ইসলাম জোরপূর্বক বিয়েতে সায় দেয় না। এক্ষেত্রে মাসরুরের বাবা তার দেখানো ইসলামী শাস্ত্রভিত্তিক প্রমাণাদি মেনে নেন। পরে হাঙ্গেরির নাগরিক হেনরিয়েটা সোভাতির সাথে মাসরুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোভাতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মাসরুর-সোভাতি দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে।

আজমল মাসরুর লন্ডনের হারিঙ্গে বোরোর বাসিন্দা।

শিক্ষা
স্কুল শিক্ষা শেষে আজমল মাসরুর লন্ডনে অবস্থিত স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এ্যন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (এসওএস)-এ রাজনীতি ও আরবী বিষয়ে পড়াশুনা করেন। মাসরুর শিক্ষাজীবনে একাধিক ছাত্র ও ইসলামী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তার শখ ও আগ্রহের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে নব্য সংস্কৃতি, বিভিন্ন দেশে প্রচলিত খাবার, ব্যাডমিন্টন খেলা এবং সমাজ, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করা।

ইমাম
আজমল মাসরুর একজন স্থানীয় ইমাম। তিনি লন্ডনের অন্তত চারটি মসজিদে মুসলিমদের সাপ্তাহিক আয়োজন জুম্মার নামাজের ইমাম হিসেবে নিয়মিত ভাবে অংশ নিয়ে থাকেন। মসজিদগুলো হচ্ছে গুজ স্ট্রিট মসজিদ, পামার্স গ্রিন মসজিদ, ওয়েস্ট ইলিং মসজিদ এবং হ্যারিঙ্গেতে অবস্থিত ওয়াইটম্যান রোড মসজিদ।

কর্ম ও দৃষ্টভঙ্গি
আজমল মাসরুর বর্তমানে মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেনের একজন সদস্য। তিনি ইসলামী সোসাইটি অফ ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ম পালন করেন। এছাড়া তিনি কমিউনিটি ইন অ্যাকশান নামক একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ও পরিচালক।

মাসরুর ২০১০ সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন ও বো অঞ্চলের একক আসন থেকে লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলীর (লেবার পার্টি) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময়েও লিবারাল ডেমোক্র্যাটস মাসরুরকে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেছিল এবং তিনি প্রসপেক্টিভ পার্লামেন্টারি ক্যান্ডিডেট (পিপিসি) মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু একাধিক ইসলামী আলোচনাসভায় কিছু মন্তব্যের ফলে সমালোচিত হলে তিনি নিজেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

মাসরুর যুক্তরাজ্যের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপক হিসেবে বিখ্যাত। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে সম্প্রচারিত ইসলাম চ্যানেল ও চ্যানেল এস-এ নিয়মিত ভাবে একাধিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন। চ্যানেল এস-এ তার উপস্থাপিত লেটস টক যুক্তরাজ্য মুসলিম সমাজে একটি বহুল প্রচারিত অনুষ্ঠান। এছাড়াও মাসরুর চ্যানেল ফোর-এ প্রচারিত শরিয়াহ টিভি নামক অনুষ্ঠানের একজন প্যানেল সদস্য। মাসরুর একই চ্যানেলে মেক মি এ মুসলিম নামক একটি ব্যাতিক্রমধর্মী ইসলামী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন, যেখানে প্রতি তিন সপ্তাহ সময়ে ছয় জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ব্রিটিশ ও একজন অধার্মিক ব্রিটিশ মুসলিমকে ইসলামের পথে আসার জন্য আহবান করা হয়।

১০ মে, ২০০৯ তারিখে আজমল মাসরুর বিবিসি ওয়ান চ্যানেলে সেলিব্রিটি লাইভস – শরীয়াহ স্টাইল নামক একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এছাড়াও তিনি খবরভিত্তিক প্রধান কিছু টেলিভিশান চ্যানেল যেমন বিবিসি, সিএনএন ও স্কাই নিউজে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়াবলীকে ভিত্তি করে প্রচারিত একাধিক আলোচনা অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে অংশ গ্রহণ করেছেন।

সম্প্রতি তিনি বিবিসিতে ''দ্য বিগ কোয়েশ্চেন'' নামক বিতর্কমূলক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করেছেন।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.