Abdullah al Mamun
Date of Birth | : | 13 July, 1992 |
Date of Death | : | 21 August, 2008 (Aged 16) |
Place of Birth | : | Jamalpur, Bangladesh |
Profession | : | Writer, Filmmaker, Bangladeshi Playwright |
Nationality | : | Bangladeshi |
Abdullah Al Mamun (আব্দুল্লাহ আল মামুন) (13 July 1942 – 21 August 2008) was a Bangladeshi playwright, actor, and filmmaker He earned the in 1978 and the in 2000 from the As a filmmaker, he won twice for the direction of the films Ekhoni Somoy (1980) and Dui Jibon (1988)
আবদুল্লাহ আল মামুন (Abdullah al Mamun) (জন্ম:জুলাই ১৩, ১৯৪২ - মৃত্যু:আগস্ট ২১, ২০০৮) একজন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক। আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ই জুলাই জামালপুরে জন্ম আমড়া পাড়ায় গ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ অনার্স ও এমএ (১৯৬৪) ডিগ্রি অর্জন করেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন একদিকে নিজের রচিত মৌলিক নাটকের নির্দেশনাসহ অভিনয় করেছেন, অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস কৃষ্ণকান্তের উইল ও ঘরে-বাইরের নাট্যরূপ প্রদানের মাধ্যমে তাতে নির্দেশনাসহ অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি উইলিয়ম শেক্সপিয়রের বিশ্ববিখ্যাত নাটক ওথেলো (মুনীর চৌধুরী ও কবীর চৌধুরীকৃত অনুবাদ) এবং আরবুঝভ-এর পুরানো পালা (আনিসুজ্জামান রূপান্তরিত) নাটকের নির্দেশনাসহ অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে অন্যের রচিত ও নির্দেশিত নাটকেও অভিনয় করেছেন। এর বাইরে বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাসে আবদুল্লাহ আল মামুনের আরেকটি বড় অবদান হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হক রচিত পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় শীর্ষক কাব্যনাটকের নির্দেশনা ও অভিনয়। ১৯৭৬ সালে মঞ্চস্থ এই নাটকটিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মৌলিক কাব্যনাট্যের প্রযোজনা।
আবদুল্লাহ আল মামুন ছাত্রজীবন থেকেই নাট্য রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর অভিনয় জীবনে চাষী থেকে শুরু করে যুবক, নেতা, সেনাপতি, মাতবার, বাবা, শিক্ষক, ব্যারিস্টার, নায়ক, বাউল, ফকির, হাজী, ব্যাপারী, ব্যবসায়ী, তাতারি ইত্যাদি স্বদেশীয় চরিত্রের পাশাপাশি ওথেলো নাটকে ইয়াগো, আন্তিগোনে নাটকে ক্রেয়ন ইত্যাদি ভিন্নদেশীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। সঙ্গত কারণেই তাঁর নাটকে বাংলাদেশের সমসাময়িক পারিবারিক, সামাজিক ও সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিচিত্র পেশাজীবী মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের কথা উঠে এসেছে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিপক্ষে নাট্যকার আবদুল্লাহ আল মামুন জীবনভর তাঁর নাট্য রচনা অব্যাহত রাখেন।তাঁর গ্রন্থাকারে প্রকাশিত ও মঞ্চস্থ নাটকগুলোর মধ্যে সুবচন নির্বাসনে (১৯৭৪), এখনও দুঃসময় (১৯৭৫), এবার ধরা দাও (১৯৭৭), শপথ (১৯৭৮), সেনাপতি (১৯৮০), অরক্ষিত মতিঝিল (১৯৮০), ক্রস রোডে ক্রসফায়ার (১৯৮১), শাহজাদীর কালো নেকাব (১৯৮৪), আয়নার বন্ধুর মুখ (১৯৮৩), এখনও ক্রীতদাস (১৯৮৪), তোমরাই (১৯৮৮), দূরপাল্লা (১৯৮৮), তৃতীয় পুরুষ (১৯৮৮), আমাদের সন্তানেরা (১৯৮৮), কোকিলারা (১৯৯০), পথনাটক: উজান পাবন, বিবিসাব ও কুরসী (১৯৯১), দ্যাশের মানুষ (১৯৯৩), স্পর্ধা (১৯৯৬), মেরাজ ফকিরের মা (১৯৯৭), মাইক মাস্টার (১৯৯৭), মেহেরজান আরেকবার (১৯৯৮), জন্মদিন (২০০৬) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাঁর রচিত আরো নাটক (প্রস্তাবিত মঞ্চনাটক): নিয়তির পরিহাস (১৯৫৭), বিন্দু বিন্দু রং (১৯৬২), গোলাপ বাগান (২০০২) ইত্যাদি।
পেশাগত জীবনে তিনি নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে যোগ দিয়ে সিনিয়র প্রযোজক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং শেষে পরিচালক।ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯৬৬-১৯৯১)। তিনি ছিলেন জাতীয় গনমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক (১৯৯১-২০০১)। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকও ছিলেন তিনি (২০০১)।
টিভি প্রযোজক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যশিক্ষক, ঔপন্যাসিক ও সংগঠক হিসেবে তাঁর অসামান্য খ্যাতি রয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুন ৭টি উপন্যাস রচনা ও প্রকাশ করেন, সেগুলো-মানব তোমার সারাজীবন (১৯৮৮), আহ্ দেবদাস (১৯৮৯), তাহাদের যৌবনকাল (১৯৯১), হায় পার্বতী (১৯৯১), এই চুনীলাল (১৯৯৩), গুন্ডাপান্ডার বাবা (১৯৯৩), খলনায়ক (১৯৯৭)। তিনি আমার আমি নামে একটি আত্মচরিত এবং ম্যানহাটান নামে একটি ভ্রমণ কাহিনী রচনা করেন। তাছাড়া নাট্যাভিনেতাদের জন্য তাঁর অভিনয় (প্রথমখন্ড) নামে একটি শিক্ষামূলকগ্রন্থ রয়েছে।
বাংলাদেশে টেলিভিশনে আব্দুল্লাহ আল মামুনই প্রথম ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য টেলিভিশন ধারাবাহিক প্রযোজনা হলো- সংশপ্তক (২৬ পর্ব), ঘরোয়া (৫২ পর্ব), আমি তুমি সে (২৬ পর্ব), পাথর সময় (১৩ পর্ব), জোয়ার ভাটা (২০০ পর্ব), বাবা (২০০ পর্ব), শীর্ষবিন্দু (৭ পর্ব), জীবন ছবি (১৪ পর্ব), উত্তরাধিকার (১৪ পর্ব) ইত্যাদি।
চলচ্চিত্র পরিচালনাতেও আবদুল্লাহ আল মামুন কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সুস্থধারার শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র পরিচালনায় জীবনের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- সারেং বউ, সখী তুমি কার, এখনই সময়, দুই জীবন, দমকা, জনমদুখী, বিহঙ্গ ইত্যাদি। তাছাড়া ফেরদৌসী মজুমদার: জীবন ও অভিনয় শিরোনামে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিক প্রতিনিধি হিসেবে জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম র্জামানি, চীন, সিঙ্গাপুর সহ পৃথিবীর নানা দেশ ভ্রমন করেছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
.আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন অসংখ্য জাতীয় পুরস্কার। এসবের মধ্যে অন্যতম হলো-প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার (১৯৭৮), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯), অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা কাহিনী চিত্রনাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও থিয়েটার প্রবর্তিত মুনির চৌধুরী সন্মাননা(১৯৯১), চিত্রনাট্যকার ও কাহিনীকার হিসেবে বাংলাদেশ ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন পুরস্কার-তারকালোক পদক, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আর এদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি ২০০০ সালে।
দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর ২১ আগস্ট ২০০৮ সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে এই মেধাবী নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
তবে খুবই দুঃখের ব্যাপার এই যে আবদুল্লাহ আল মামুন এত বড়ো একজন সাহিত্যিক এবং সভ্যসাচী মানুষ ও লেখক। অথচ তাকে নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে কোথাও কোন স্মরণসভা কিংবা কোন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় খুব কম। তাঁর আদর্শ ও তাকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তাঁর সৃষ্টি ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে।
Early life and education
Mamun was born on 13 July 1942 in He completed his bachelor's and master's degrees in history from the He wrote in his memoirs Aamar Kotha, which was serially published in the fortnightly Tarokalok, "When I first got admitted in the Dhaka University, I turned to Najmul Huda Bacchu vai to get a chance in theatre. He took me to. Hearing that besides acting, I write plays also, Momen Sir asked me, 'Have you read Bernard Shaw?' He cast me in his next play. That was my beginning. Since then I never had to look back". In 1950, he wrote his first stage play, Niyotir Parihas. Subsequently, under the guidance of he further developed his skills as a director and actor
Career
Since 1965, Mamun was associated with later renamed (BTV) He wrote 25 dramas, seven novels, an autobiography titled Amar Ami, and a travelogue titled Manhattan. His literature mostly depicts the middle-class lifestyle of Bangladesh. His notable plays include Ekhono Kritadas, Tomrai, Amader Sontanera, Kokilara, Bibisab, Meraj Fakirer Maa, Mayik Master, Pathar Somoy, Jibon Chhobi, and Baba He was a founding member and playwright-director of the theatre troupe Theatre.
Mamun was also a filmmaker. He made his debut as a filmmaker with Angikar in 1972. His other notable films include (1978), Ekhoni Somoy, Dui Jibon, Bihanga He wrote stories and songs for films including "Oshikkhito His last films, Doriya Parer Doulati and Dui Beayar Kirti, were released in 2010 and 2015 respectively
Mamun joined BTV as a producer in 1966 and retired in 1991 as a director. He served as director general of the National Institute of Mass Communication (NIMCO) and director general