তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
Admin October 16, 2024 276
রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদের নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত ব্যয়কারী ও রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আরও বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)

আলেমদের মতে, তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা বা নফল। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে এ নামাজ চার, ছয়, আট, দশ রাকাত প্রমাণিত। এর থেকে বেশি বা কম পড়তেও কোনো সমস্যা নেই। যেহেতু নফল, তাই যত ইচ্ছা পড়া যায়। তবে উত্তম হলো আট রাকাত পড়া।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদসহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত।’ (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)

হযরত আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজানে এবং রমজানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহিহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদিস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদিস ২৪০৭৩)

আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন, ‘আমি হযরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবীজি বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তেরো রাকাতের অধিক পড়তেন না।’ (সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদিস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদিস ২৫১৫৯)