সোনার তরী কবিতার এমসিকিউ

সোনার তরী কবিতার এমসিকিউ
Admin November 30, 2024 505

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "সোনার তরী" কবিতায় "বাঁকা জল" বলতে নদীর সেই জলকে বোঝানো হয়েছে, যা বক্র বা বাঁকানো পথে বয়ে চলে। এটি প্রকৃতির একটি চিত্র যা নদীর সর্পিল প্রবাহের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এখানে "বাঁকা জল" কেবলমাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রকাশ নয়, বরং এটি জীবনের গতিময়তার দিকও ইঙ্গিত করে। নদী যেমন বাঁকা পথে প্রবাহিত হয়, তেমনি জীবনের পথও সবসময় সরল হয় না, নানা বাঁক ও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে চলতে হয়।


সোনার তরী কবিতার MCQ (বহুনির্বাচনি প্রশ্ন)


১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

ক) ১৮২৮
খ) ১৮৩৮
গ) ১৮৬১
ঘ) ১৮৬৭
সঠিক উত্তরঃ গ) ১৮৬১

ব্যাখ্যাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে ৭মে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালের ৭ই আগষ্ট তার জীবনাবসান হয়।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থটি কবির কত বছর বয়সে প্রকাশিত হয়?
ক) পনেরো
খ) আঠারো
গ) বিশ
ঘ) বাইশ
সঠিক উত্তরঃ ক) পনেরো

ব্যাখ্যাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর বনফুল কাব্যটি প্রকাশিত হয়। ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘বলাকা ‘পুনশ্চ’, ‘জন্মদিনে’, ‘শেষ লেখা’ তাঁর কয়েকটি শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের নাম ।

৩. ‘ধান কাটা হলো সারা’ চরণটির মাধ্যমে কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
ক) ফসলের কাজ সম্পন্ন হওয়া
খ) কর্মের পরিণতি
গ) কর্মময় জীবন
ঘ) ফসল তোলার তাড়া
সঠিক উত্তরঃ খ) কর্মের পরিণতি

ব্যাখ্যাঃ মানুষের জীবন কর্মময়। তার কোনো কোনো কর্ম মহৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মহৎ কর্মগুলোই সোনার তরীতে স্থান পায়। কবিতার কবি তার কর্ম করার পর এর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় আছেন।

৪. পরপারের গ্রামখানি কীরূপ?
ক) আঁকা ছবির মতো
খ) অস্পষ্ট ও অপূর্ণ
গ) ধোঁয়াশার মতো
ঘ) কালো ও বিবর্ণ
সঠিক উত্তরঃ ক) আঁকা ছবির মতো

ব্যাখ্যাঃ পরপারের গ্রামখানি আঁকা ছবির মতো। কবি যখন ধান কাটতে ছোট একটি খেতে যান তখন আকাশে ঘন মেঘ গর্জন করছিল। ঘন মেঘের কারণে ওপারের গ্রামটি কবির নিকট গাছের ছায়ায় কালো রঙে মাখানো/আঁকা মনে হচ্ছিল।

৫. ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি কীভাবে চলে যায়?
ক) চেঁচাতে চেঁচাতে
খ) কান্না করে
গ) ভরা পালে
ঘ) এদিক ওদিক তাকায়ে
সঠিক উত্তরঃ গ) ভরা পালে

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি ভরা পালে চলে যায়। মাঝি ভরা পালে কোনোদিক না, তাকিয়েই চলে যায়। তার নৌকার দুইপাশে ঢেউ ভেঙে পড়ে।

৬. কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’— এখানে ‘কূলে’ শব্দটি কীসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক) ইহজগৎ
খ) নদীর কুল
গ) ধানখেত
ঘ) পরপর
সঠিক উত্তরঃ ক) ইহজগৎ

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় কূল বলতে ইহজগত এবং পরপার বলতে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বোঝানো হয়েছে।

৭. ‘ভারা’ কী?
ক) পাখির বাসা
খ) ধান রাখার পাত্র
গ) নৌকার নিচের খালি জায়গা
ঘ) মেঘের গর্জন
সঠিক উত্তরঃ খ) ধান রাখার পাত্র

ব্যাখ্যাঃ ‘ভারা’ অর্থ ধান রাখার পাত্র। কবি কবিতায় ‘রাশি রাশি ভারা ভারা বলতে বিপুল পরিমাণকে বুঝিয়েছেন।

৮. ‘যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’- এ কথাটার মধ্যে কী প্রচ্ছন্ন রয়েছে?
ক) অনুশোচনা
খ) আক্ষেপ
গ) আত্মসমালোচনা
ঘ) শূন্যতাবোধ
সঠিক উত্তরঃ ঘ) শূন্যতাবোধ

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত কথাটির মধ্যে কবির শূন্যতাবোধ প্রচ্ছন্ন রয়েছে। কৃষক এতদিন কষ্টে ফসল ফলিয়ে, তা সোনার তরীতে তুলে দিয়ে সে কর্মহীন হয়ে শূন্যতা বোধে ভুগছে। একজন মানুষ যখন কর্ম হারায় তখনই সে সর্বাপেক্ষা শূন্যতা বোধ করে।

৯. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক কোন মাসে ধান কেটেছিলেন?
ক) জৈষ্ঠ
খ) আষাঢ়
গ) শ্রাবণ
ঘ) ভাদ্র
সঠিক উত্তরঃ গ) শ্রাবণ

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক শ্রাবণ মাসে ধান কেটেছিল। বিষয়টি কবিতার শেষ দিকে প্রমাণিত হয়েছে। কবি শ্রাবণগগনের কথা বলেছেন।

১০. ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবির আক্ষেপ নিচের কোন পদ্ধতিটিতে প্রকাশ পেয়েছে?
ক) আমারি সোনার ধনে গিয়েছে ভরি
খ) এখন আমারে লহো করুণা করে
গ) গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা
ঘ) যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী
সঠিক উত্তরঃ ঘ) যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী

ব্যাখ্যাঃ কৃষক, সোনার ধান, সোনার তরী এসব রুপকের মাধ্যমে কবি মানবজীবনের একটি গভীর দর্শনকে তুলে ধরেছেন। কবি বোঝাতে চেয়েছেন সোনার তরী নামক মহাকালের শিল্পলোকে মানুষের সোনার ধনরূপী মহৎ কর্ম ও সৃষ্টিকর্মের স্থান হয়, ব্যক্তিমানুষের স্থান হয় না। আর এ কারণেই কবি আক্ষেপ করে বলেছেন যাহা ছিল নিয়ে গেলে সেনার তরী।

১১. ‘সোনার তরী’ কবিতায় ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’-কথাটিতে মাঝির কেমন মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে?
ক) অনাগ্রহ
খ) নিবেদন
গ) স্মৃতিচারণ
ঘ) হতাশা
সঠিক উত্তরঃ ক) অনাগ্রহ

ব্যাখ্যাঃ মাঝিরূপ মহাকাল মহৎকর্মের বাহক। সেখানে কর্ম ষ্টার ঠাঁই হয় না। অর্থাৎ মাঝি তার তরীতে কবিকে নিতে অনগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

১২. ‘সোনারতরী’ কবিতায় ‘বাঁকা জল’ মূলত কীসের প্রতীক?
ক) কালস্রোতের
খ) কর্মফলের
গ) মহাকালের
ঘ) আশঙ্কার
সঠিক উত্তরঃ ক) কালস্রোতের

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘বাকা জল’ বলতে অনন্ত কালস্রোতকে বোঝানো হয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ছোট্ট একটি ক্ষেতে কৃষক ধান কাটছিলেন, যার চারপাশে ‘বাঁকা জল’ খেলা করছিল। আসলে কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষের সৃষ্টিকর্মগুলো নিয়ত কালস্রোতে বিলীন হওয়ার হুমকিতে থাকে। যেমন- কবিতায় দ্বীপসদৃশ ছোট খেতটি বাকা জলে বিলীন হওয়ার জন্য অপেক্ষমান যা কৃষকের মনে ঘনঘোর আশঙ্কা তৈরি করেছে।

১৩. ‘সোনার তরী’ কবিতায় বিদেশ কীসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক) মৃত্যুলোক
খ) ভিন্ন দেশ
গ) চিরায়ত শিল্পলোক
ঘ) শিল্পীদের দেশ
সঠিক উত্তরঃ গ) চিরায়ত শিল্পলোক

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় বিদেশ’ শব্দটি চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কৃষক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ছোটোখেতে কাটা ধান নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় একজন মাঝি নিরাসক্তভাবে নদীতে নৌকা বেয়ে যাচ্ছিল। কৃষকের মনে হলো সে হয়তো কোনো বিদেশ যাচ্ছে।

১৪. বাঁকা জল খেলা করার মধ্য দিয়ে নদীর জলের কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে?
ক) হিংস্রতা
খ) উদ্দামতা
গ) শাঙ্করূপ
ঘ) প্রবাহমানতা
সঠিক উত্তরঃ খ) উদ্দামতা

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি বর্ষাকালের চিত্র এঁকেছেন। শ্রাবণের বর্ষার নদীগুলো উদ্দাম থাকে। প্রোতে থাকে প্রচণ্ডতা। নদীর পানি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। শ্রাবণ মাসের বর্ষায় নদীর সেই উদ্দামতা বোঝাতে কবি থাকা জল করিছে খেলা’ ত্রিকল্পটি ব্যবহার করেছেন।

১৫. ‘পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী-মাখা। -এখানে ‘মসী-মাখা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) কালো রঙে মাখানো
খ) অস্পষ্ট মহাকাল  
গ) মসী দ্বারা অস্পষ্ট
ঘ) মসী দ্বারা মাখা
সঠিক উত্তরঃ ক) কালো রঙে মাখানো

ব্যাখ্যাঃ ‘তরুছায়ামসী-মাখা’ গাছপালার ছায়ায় কাল রং মাধ্যকে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। কবি নদীর কূলে আছেন। নদীর অপর পাড়ের গ্রামে ঘন মেঘ করেছে এবং মুষলধারার বৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামটিকে বৃক্ষের ছায়াচ্ছাদিত বা ছায়াঢাকা কালো রঙে মাখানো বলে মনে হচ্ছে।

১৬. কৃষককে দেখে সোনার তরীর মাঝির কেমন অনুভূতি হয়?
ক) কৌতূহলী হয়
খ) নির্বিকার থাকে
গ) বিরক্ত হয়
ঘ) আনন্দিত হয়
সঠিক উত্তরঃ খ) নির্বিকার থাকে

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি মহাকালের প্রতীক বলে কৃষককে দেখে তার নির্বিকার নির্মোহ অনুভূতি হয়। মহাকাল কৃষক বা শিল্পশ্রষ্টাকে নিয়ে ভাবে না, আপন গতিতে চলে শিল্পশ্রষ্টার সৃষ্টিকর্মকে তার শিল্পলোকে স্থান দেয়। তাই কৃষক দেখে সে নির্বিকার থাকে।

১৭. ‘সোনার তরী’ কবিতায় সোনার ধান আসলে কী?
ক) সোনার তৈরি ধান
খ) সোনামুখী ধান
গ) মূল্যবান রত্ন
ঘ) সৃষ্টিকর্ম
সঠিক উত্তরঃ ঘ) সৃষ্টিকর্ম

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ আসলে মানুষের সৃষ্টিকর্ম। রূপক কবিতা ‘সোনার তরী’তে সোনার ধানকে কবি শিল্পস্রষ্টার সৃষ্টিকর্মের সাথে তুলনা করেছেন। কারণ শিল্পস্রষ্টার সৃষ্টিকর্মকে যেমন মহকাশ গ্রহণ করে তেমনি সোনার তরীতে সোনার ধানের স্থান হয় ৷

১৮. ‘ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে – এখানে ‘বিদেশ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) অপরিচিত স্থানে
খ) দেশের বাইরে
গ) পাশ্চাত্য দেশে
ঘ) গ্রামের বাড়িতে
সঠিক উত্তরঃ ক) অপরিচিত স্থানে

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত চরণে বিদেশ’ বলতে অপরিচিত স্থান বোঝানো হয়েছে। কৃষক যখন বৈরি আবহাওয়ায় ‘রাশি রাশি ধান কেটে ভারায় ভর্তি করে ‘রেখে নৌকার অপেক্ষা করছিল তখন একজন মাঝিকে সোনার তরী” বেয়ে আসতে দেখেন। কৃষক জানেন না যে মাঝি কোথায় যাবে। তাই মাঝিকে উদ্দেশ্যে করে কৃষক বলেন, সে কোন বিদেশ যাচ্ছে অর্থাৎ না জানা কোথায় যাচ্ছে।

১৯. জলকে ‘বাঁকা’ বলে অভিহিত করে কী বোঝানো হয়েছে?
ক)পরিস্থিতির ভয়াবহতা
খ) স্রোতের বক্রতা
গ) নদীর পরিস্থিতি
ঘ) জলের প্রবহমানতা
সঠিক উত্তরঃ ক) পরিস্থিতির ভয়াবহতা

ব্যাখ্যাঃ জলকে ‘বাঁকা’ বলে কবি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝিয়েছেন।কৃষক দ্বীপসদৃশ একটি ছোটখেতে একলা অবস্থান করছেন। প্রচণ্ড জলস্রোত এতটাই ভয়াবহ যে, যেকোনো সময় খেতটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।

২০. গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে?- প্রকৃতপক্ষে উক্তিটিতে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?
ক) মৃত্যুদূত
খ) মহাকাশ
গ) নিষ্ঠুর সময়
ঘ) অপরিচিত মাঝি
সঠিক উত্তরঃ খ) মহাকাশ

ব্যাখ্যাঃ যা ‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি মহাকালের প্রতীকে উপস্থাপিত হয়েছে। মহাকাল যেমন ব্যক্তি মানুষের প্রতি উদাসীন, তেমনি মাঝিও কৃষকের প্রতি উদাসীন।

২১. মাঝিকে দেখে কৃষক উৎসুক হয়ে ওঠেন কেন?
ক) কৃষক ও তাঁর ধান নিবে সেই আশায়
খ) দক্ষ মাঝি মনে হওয়ায়
গ) হঠাৎ দেখা পাওয়ায়
ঘ) গান শুনতে পাওয়ার আশায়
সঠিক উত্তরঃ ক) কৃষক ও তাঁর ধান নিবে সেই আশায়

ব্যাখ্যাঃ মাঝিকে দেখে কৃষক খুশি হয়, উন্মুক্ত হয়। কারণ কৃষকের মনে হয়, সে যে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় আছে তা থেকে উদ্ধার পেতে মাঝি সাহায্য করবে এবং তাকেসহ সোনার ধান নৌকায় তুলে নিবে।

২২. ‘এখন আমারে লহো করুণা করে- ‘আমারে’ বলতে এখানে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক)কৃষককে
খ) মাঝিকে
গ) মৃত্যুকে
ঘ) ভূস্বামীকে
সঠিক উত্তরঃ ক) কৃষককে

ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিতে ‘আমর’ কাতে কৃষককে বুঝিয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক ‘আমি’ হিসেবে এবং ‘মাঝি’ ‘তুমি’ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।

২৩. ‘সোনার তরী’ কবিতায় নৌকা কীসের প্রতীক?
ক) মহাকালের প্রতীক
খ) জীবনের প্রতীক
গ) চলমানতার প্রতীক
ঘ) চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক
সঠিক উত্তরঃ ঘ) চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক

২৪. ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ কীসের প্রতীক?
ক) মহাকাল
খ) সমকাল
গ) সৃষ্টিকর্ম
ঘ) কালস্রোত
সঠিক উত্তরঃ গ) সৃষ্টিকর্ম

ব্যাখ্যাঃ ‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘সোনার ধান’ আসলে মানুষের সৃষ্টিকর্ম। রূপক কবিতা ‘সোনার তরী’তে সোনার ধানকে কবি শিল্পস্রষ্টার সৃষ্টিকর্মের সাথে তুলনা করেছেন। কারণ শিল্পস্রষ্টার সৃষ্টিকর্মকে যেমন মহাকাল গ্রহণ করে তেমনি সোনার তরীতে সোনার ধানের স্থান হয়। উল্লেখ্য, রূপক কবিতা ‘সোনার তরী’তে আমি বা কৃষক ব্যক্তি শিল্পস্রষ্টা কবি নিজেই, মাঝি ‘তুমি’ মহাকালের প্রতীক।

২৫. ‘কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক) অনিশ্চয়তা
খ) অপ্রাপ্তিবোধ
গ) হতাশা
ঘ) আশঙ্কা
সঠিক উত্তরঃ ক) অনিশ্চয়তা

ব্যাখ্যাঃ কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা বলতে কৃষকের অনিশ্চয়তাবোধকে বোঝানো হয়েছে। বর্ষার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কৃষক নদীর কূলে আছেন, তাঁর মনে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি ভালোভাবে জানেন না, যে ফসল উৎপাদন করেছেন তা নিরাপদে পৌঁছাতে পারবেন কিনা।

২৬. ধান কাটার পর কৃষকের মনে কীসের উদয় হয়?
ক) আশঙ্কার
খ) আনন্দের
গ) বেদনার
ঘ) অহংকারের
সঠিক উত্তরঃ ক) আশঙ্কার

ব্যাখ্যাঃ ধান কাটার পর কৃষকের মনে আশঙ্কার উদয় হয়। কৃষক বহু কষ্টে উৎপাদিত ধান কাটার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সেগুলোকে রক্ষা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তার মনে আশঙ্কা জন্মে।

২৭. মাঝির তরীতে কৃষক স্থান পেলেন না কেন?
ক) তরীটি ছোটো ছিল বলে
খ) মাঝির মনে ধরেনি বলে
গ) ধানে তরী পূর্ণ বলে
ঘ) সময় ছিল না বলে
সঠিক উত্তরঃ গ) ধানে তরী পূর্ণ বলে

২৮. ‘শূন্য নদীর তীরে/ রহিনু পড়ি ‘ –কথাটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে?
ক) মৃত্যুর অনিবার্যতা
খ) কালের প্রবহমানতা
গ) কৃষকেরে অসহায়তা
ঘ) অপ্রাপ্তির বেদনা
সঠিক উত্তরঃ ক) মৃত্যুর অনিবার্যতা

২৯. বর্ষার চিত্রের আড়ালে ‘সোনার তরী’ কবিতায় কোন চিত্র ফুটে উঠেছে ?
ক) মানব মুক্তির চিত্র
খ) মানুষের কর্মময়তার চিত্র
গ) মানবজীবনের দার্শনিকতা
ঘ) মানবমৃত্যুর অনিবার্যতা
সঠিক উত্তরঃ গ) মানবজীবনের দার্শনিকতা

ব্যাখ্যাঃ বর্ষার চিত্রের আড়ালে ‘সোনার তরী’ কবিতায় মানবজীবনের দার্শনিকতা প্রকাশিত হয়েছে। কবি বলতে চেয়েছেন, একজন মানুষ সারা জীবন ধরে যা কিছু সৃষ্টি করে মহাকাল তা গ্রহণ করে। তাকে নিক্ষিপ্ত হতে হয় মহাকালের অতল গহ্বরে ।

৩০. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ছন্দে লিখ?
ক) মাত্রাবৃত্ত
খ) স্বরবৃত্ত
গ) অক্ষরবৃত্ত
ঘ) মুক্তকবৃত্ত
সঠিক উত্তরঃ ক) মাত্রাবৃত্ত