সিদ্ধ ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা

সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সিদ্ধ ছোলায় কত ক্যালরি থাকে এই সকল বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সিদ্ধ ছোলা খাওয়ায় আমাদের শরীরের কি কি উপকার এবং অপকার হয়। এই পোস্টে সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার নিয়ম সিদ্ধ ছোলায় কত ক্যালরি রয়েছে ইত্যাদি এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই পুরো পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার নিয়ম
ছোলা হলো একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ছোলাতে অধিক পরিমাণ প্রোটিন ফাইবার ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন উপস্থিত। ছোলাতে অধিক পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে এটি আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের রাখে। উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছোলাতে উপস্থিত পটাশিয়াম উপকারি।
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা কাঁচা ছোলা খেয়ে থাকে আবার অনেকে থাকে সেদ্ধ ছোলা। তবে সেদ্ধ করা ছোলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অধিক পরিমাণ তেল এবং মসলার যুক্ত ছোলা সেদ্ধ আমাদের হজমশক্তির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
প্রথমে কাঁচা ছোলা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে একটি প্রেসার কুকারে লবণ কাঁচা লঙ্কা এবং সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ছোলা গুলো যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন আরেকটি কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ তেল রসুন বাটা আদা বাটা পেঁয়াজ কুচি মিহিদানা করে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা জেরি টমেটো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর সিদ্ধ করা বুট গুলো দিয়ে ভালোভাবে রান্না করে নিতে হবে।
ছোলা গুলো প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করা করে একটা পরিষ্কার বাটিতে তুলে নিতে হবে এবং পরিবেশন করতে হবে। উপরোক্ত নিয়মে যদি ছোলা সেদ্ধ করে আপনি খান তবে আপনার হজম শক্তির কোন সমস্যা হবে না কারণ প্রেসার কুকারে ছোলা বুট সিদ্ধ করে নিলে সেটির দ্রুতই হজমে পরিপাক হয় এবং লিভার কে তার কার্যক্রম করতে সাহায্য করে।
সিদ্ধ ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
ছোলা হলো একদিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এটি কাঁচা অথবা ভাজা বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। ছোলা হলো একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। ছোলাতে অনেক পরিমাণ প্রোটিন থাকায় এটি আমাদের শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে আবার এটির দামেও মাছ-মাংসের চেয়ে খুব কম। ছোলা কাঁচা অবস্থায় খেলে যে রকম অনেক উপকার হয় ঠিক তেমনি সেদ্ধ অবস্থায় খেলেও এটা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। এখন অনেকেই মনে করেন যে সিদ্ধ ছোলা খেলে মোটা হয়ে যায়? আমি এই প্রশ্নটির উত্তরে বলব এই প্রশ্নটি ভুল কারণ সিদ্ধ ঝোলা খেলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল ছোলাতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড কমায়। কিন্তু কেউ যদি অধিক পরিমাণ তেল মসলা দিয়ে রান্না করে তাহলে তবে তার বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
ছোলা তে উপস্থিত ভিটামিন ক্যালসিয়াম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি শরীরের দুর্বলতা দূর করতেও ছোলার কোন বিকল্প নেই। সেদ্ধ ছোলা দ্রুত হজম হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ছোলাতে উপস্থিত পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে। পরিশেষে একটাই কথা বলব যে সেদ্ধ ছোলা খেলে শরীর মোটা হয়ে যায় না বরং এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের দুর্বলতা ক্লান্তি বোধ দূর করে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরে ক্লান্তি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই দিনে একবার হলেও উপরোক্ত নিয়মে ছোলা সিদ্ধ করে খাবেন।
সিদ্ধ ছোলা খেলে কি হয়
সিদ্ধ ছোলা খেলে আমাদের কি কি উপকার হয় এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
- সিদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ আয়রন থাকে যেটি আমাদের শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করে।
- সিদ্ধ ছোলা হলো একটি প্রোটিন সম্মত খাবার এটি আমাদের শরীরে প্রোটিনের সরবরাহ করে এবং দৈহিক মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি করে।
- সেদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ আয়রন থাকায় এটির রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তাই যদি কারো রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া থেকে থাকে তাহলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যাবে।
- সেদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ ফাইবার থাকে। অধিক পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাকস্থলীতে খাদ্যের পরিপাক ত্বরান্বিত করে।
- খাবারের মাধ্যমে যে সকল যে বজ্র পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে সেগুলো অনেক ক্ষতি করে কিন্তু ছোলাতে উপস্থিত এন্টি অক্সিজেন শরীরের সেই সকল টক্সিক পদার্থ বের করে দেয়।
- ছোলাতে অধিক পরিমাণ ফাইবার আর রাফেজ থাকার কারণে একটি শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ছোলাতে উপস্থিত অধিক পরিমাণ এনটিঅক্সিডেন্ট রক্তের নালীকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে যা উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
- ছোলাতে অধিক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ফলিক অ্যাসিড উপস্থিত থাকে যেগুলো পাকস্থলীতে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত থাকে এবং এর ফলে ক্ষুধা কম লাগে। ক্ষুধা কম লাগার কারণে ওজন কমতে থাকে।
- সেদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে যেটি রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ছোলাতে অধিক পরিমাণ সালফার উপস্থিত রয়েছে যেটি হাত পায়ের জালা দূর করে।
- ছোলাতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম মেরুদন্ডের হাড়ের ব্যথা দূর করে।
- সেদ্ধ চলাতে প্রায় ৭০ ভাগ পানি থাকে যেটি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
- সিদ্ধ ছোলায় কত ক্যালরি
- সেদ্ধ ছোলা ভাজা ছোলা মানে কাঁচা ছোলা কোন ছোলাte বেশি ক্যালরি থাকে? তাহলে চলুন আজকে ছোলার ক্যালোরি নিয়ে আলোচনা করা যাক,
কাঁচা ছোলার ক্যাকাঁচা ছোলার ক্যালরি
ম ক্যালোরি পাওয়া যায়। এছাড়াও ১০০ গ্রাম ছলাতে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাঁচ গ্রাম ফ্যাট, ২০ গ্রাম পানি এবং বাকের ১০ গ্রামে অধিক পরিমাণ প্রোটিন ক্যালসিয়াম ফাইবার আইরন ম্যাঙ্গানিজ খনিজ উপাদান উপস্থিত।
সেদ্ধ ছোলার ক্যালরি পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে ছোলা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। তবে ছোলা যখন সেদ্ধ করা হয় তখন অধিক পরিমাণ মসলা তেল ব্যবহার করার কারণে ক্যালোরের পরিমাণ সামান্য বেড়ে যায়। ১০০ গ্রাম সেদ্ধ ক্যালরির পরিমাণ 400 গ্রাম পাশাপাশি ফ্যাট হয় ৫ থেকে ৬ গ্রাম এবং বিভিন্ন অন্যান্য উপাদান যেমন ফাইবার প্রোটিন ক্যালসিয়াম এগুলো বিদ্যমান থাকে। আমরা যদি আমাদের শরীরে অধিক পরিমাণ ক্যালরি সরবরাহ করতে চায় তবে সেদ্ধ ছোলা খাওয়াই উত্তম কারণ কাঁচা ছোলাতে পুষ্টিমান বেশি কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ কম কিন্তু আবার যদি সেদ্ধ ছোলা খাওয়া হয় তাহলে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই যারা শরীরের ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চান তারা নিশ্চিন্তে সেদ্ধ ছোলা খেতে পারেন।
সিদ্ধ ছোলা খেলে কি ওজন বাড়ে
ছোলা শরীরের বিভিন্ন রকমের ক্লান্তি দুর্বলতা দূর করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা তাদের রোগা শরীর নিয়ে খুব চিন্তিত তারা সব সময় চিন্তা করেন যে কি খাবার খেলে তাদের শরীরের ওজন বাড়বে। শরীরের অধিক ওজন যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি শরীরের কম ওজন ও ভালো নয়।
তাই আমাদের প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া। সুস্বাস্থ্যের অধিকার হওয়ার জন্য আমাদেরকে আমাদের খাওয়ার তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। খাবার তালিকা থেকে অধিক মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে তবে অতিরিক্ত ওজন কমানো যাবে। এখন অনেকেই চিন্তা করছেন যে কি খেলে তাদের রোগা শরীর একটু হেলদি হবে?
আপনাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর হল যে আপনারা যদি নিয়মিত সেদ্ধ ছোলা খান তবে আপনাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তি বোধ দূর করবে এবং আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। তবে যাদের শরীর দুর্বল এবং ওজন কম তারা যদি নিয়মিত সেদ্ধ ছোরা গান তবে সয়ে ওজন বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু যাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তারা সেদ্ধ ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ সেদ্ধ চুলায় অধিক পরিমাণ ক্যালরি থাকাই আপনার শরীরের ওজন অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধে যেমন স্ট্রোক উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই আমার পরামর্শ হলো যে যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তারা অবশ্যই সেদ্ধ ছোলা খাবেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনিও একটি সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক এবং হেলদি স্বাস্থ্যের অধিকার হতে পারবেন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা কোন বিকল্প নেই।
ছোলা বুট খেলে কি পেটে গ্যাস হয়?
ছোলা বুটে অধিক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে যেগুলো আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাকস্থলের অমূলত্ব দূর করে। প্রতিদিন সকালে যদি কাঁচা ছোলা এবং আদা একসাথে খাওয়া হয় তবে গ্যাস্ট্রিক জনিত সকল সমস্যা থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও ছোলা বুটে অধিক পরিমাণ ফাইবার বিদ্যামান থাকে যেটির শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার এবং অতিরিক্ত মেদ চর্বি কমায়। কিন্তু যদি সেদ্ধ বুট খাওয়া হয় তবে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে কারণ সেদ্ধ ছোলা বুট খেলে পেটে গ্যাস হয় কারন অধিক পরিমাণ তেল মসলা ব্যবহার করা হয়। সেদ্ধ ছোলা অধিক পরিমাণ তেল মশলা ব্যবহার করার কারণে এটির ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এটি শরীরে চর্বি জমায়। তাই ছোলা বুট খেলে সমস্যা হয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় ঠিক তেমনি ওজনও বৃদ্ধি করে।
তাই আমি বলব যে আপনারা যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তাহলে ছোলা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, রক্ত পরিষ্কার থাকবে ,পাকস্থলীতে গ্যাস দূর করবেএবং লিভার সুস্থ থাকবে।
সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সেদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল,
- সিদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ ক্যালরি বিদ্যমান তাই আমরা যদি আমাদের শরীরের ক্যালরি পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে অবশ্যই সিদ্ধ ছোলা খেতে পারি।
- সিদ্ধ ছোলাতে অধিক পরিমাণ ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট এবং এন্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যামান যা স্তন ক্যান্সার কোলন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
- সিদ্ধ ছোলাতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড এবং জিংক চুলকে সুস্থ এবং চুলের ভেঙে পড়া রোধ করে।
- ছোলাতে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটি পায়ের আরটারিতে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে।
- ছোলা তে উপস্থিত সালফার হাত পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করে।
- ছোলাতে উপস্থিত আয়রন শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করে।
- রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে ছোলাতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট খুব উপকারী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
- ছোলাতে উপস্থিত কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছোলা খাওয়া খুব উপকারী কারণ এতে রক্তে ইনসুলিন এর মাত্রা বজায় থাকে।
- রক্তের বিভিন্ন টক্সিক পদার্থ বের করতে ছোলা খাওয়া খুব উপকারী।
- প্রস্রাবের ইনফেকশন প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করতে ছোলা খাওয়া খুব সন্তোষজনক।
- অতিরিক্ত ওজন এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ছোলা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
- ছোলা আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং মেটাবলিজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ছোলাতে উপস্থিত ফলিক এসিড দাঁত এবং মাড়িকে সুস্থ রাখে।
- ছোলাতে অধিক পরিমাণ ফাইবার বিদ্যমান থাকায় এদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে।
- সেদ্ধ ছোলাতে বিদ্যমান পানি আমাদেরকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখে
- ছোলা খাওয়ার অপকারিতা গুলো হল,
- অধিক পরিমাণে সেদ্ধ ছোলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- যে সকল ব্যক্তি কিডনি জনিত রোগে আক্রান্ত তাদের ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কৌটাজাতকরণ ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কৌটা জাত করন ছোলাতে বটুলিজম নামক বিষক্রিয়া হতে পারে।
- যদি কারো ছোলা খাবার পরে হজম শক্তিতে সমস্যা হয় তবে সেগুলো না খাওয়াই উত্তম।
- কাঁচা ছোলা কখনো ভেজে খাওয়া উচিত নয় কারণ ভেজে কাঁচা ছোলা খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।