পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল

মুমিনের প্রতিটি কাজ-মুহূর্ত আমল ও ইবাদত। অন্য সবকিছুর মতো প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর রাসুল (সা.) বিভিন্ন দোয়া ও আমল করতেন। সাহাবায়ে কেরামকেও তা করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। ক্ষেত্রবিশেষ নির্দেশও দিতেন। আমলগুলো করলে বান্দার জীবন সুন্দর, বরকতময় ও সুশৃঙ্খল হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল:
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তিনবার আসতাগফিরুল্লাহ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)
দুই. তারপর ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লি ওয়াল ইকরাম’ পড়তেন । (মুসলিম, ১২২১)
তিন. সুবহা-নাল্লাহ (৩৩ বার), আলহামদুলিল্লাহ (৩৩ বার), আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার), (লা-ইলা-হা ইল্লাললাহু ওয়া হদা হু লা- শারিকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর) (১ বার)। এগুলো পাঠে গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসলিম, ১২৪০)
চার. আয়াতুল কুরসি (সুরা বাকারার আয়াত-২৫৫) একবার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেশতের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও দূরত্ব থাকে না। (নাসাঈ)
পাঁচ. ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার’ ৭ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। সেদিন বা সেই রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
ছয়. ফজর ও মাগরিবের পর সুরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সুরা নাস-প্রতিটি তিনবার করে। রাসুল (সা.) বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুই দরকার হবে না।
সাত. ফজর ও মাগরিবের পর দরুদ শরিফ ১০ বার। কেয়ামতের দিন রাসুল (সা.)-এর শাফা'আত লাভ করবে।
আট. ফজর ও মাগরিবের পর (‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’) তিনবার। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।
নয়. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে, (সুব্হানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি) তার পাপ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারি ৭/১৬৮, নং-৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং-২৬৯১)