অপরিচিতা গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন

Admin
December 01, 2024
802
অনুধাবন প্রশ্ন-১
অনুপমকে পণ্ডিত মশায়েরা বিদ্রুপ করতেন কেন?
উত্তর: অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে তাকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে পণ্ডিত মশায়েরা বিদ্রুপ করতেন। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমকে মাকাল ফল হিসেবে অভিহিত করতেন পণ্ডিত মশায়েরা। কেননা, তার ছিল সুন্দর চেহারা কিন্তু সেই অনুপাতে তেমন কোনো গুণ ছিল না। সে কারণে পণ্ডিত মশায়েরা ছেলেবেলায় তাকে মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করতেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২
শেষ পর্যন্ত অনুপমের বয়স পুরোপুরি হলো না কেন?
উত্তর: অনুপম একমাত্র সন্তান হওয়ায় শিশুকাল থেকেই তাকে কোলে কোলে রেখে বড়ো করা হয়েছে। অনুপম তার মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় সে খুব আদর-যত্নে মানুষ হয়েছিল। আর মামার কারণে তার সংসারের কোনো কিছুই নিয়ে ভাবতে হতো না। সবকিছু মিলিয়ে মানসিক দিক থেকে সে অপরিপক্ক রয়ে যায় । আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত অনুপমের বয়স পুরোপুরি হলো না বলা হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৩
অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোটো ভাইটি’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে ব্যঙ্গার্থে দেবতা কার্তিকের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করা হয়েছে। দেবী দুর্গার দুই পুত্র— অগ্রজ গণেশ ও অনুজ কার্তিক। দেবী দুর্গার কোলে দেব সেনাপতি কার্তিক অপূর্ব শোভায় ভাস্বর। বড়ো হয়েও অনুপম কার্তিকের মতো মায়ের কাছাকাছি থেকে মাতৃআজ্ঞা পালনে ব্যস্ত থাকে। তাই পরিণত বয়সেও তার স্বাধীন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না। ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় ও ব্যক্তিত্বহীন একটি চরিত্র। উচ্চশিক্ষিত হলেও তার নিজস্বতা বলতে কিছু নেই। তাকে দেখলে মনে হয় আজও সে যেন মায়ের কোলে থাকা শিশুমাত্র। এজন্যই ব্যঙ্গ করে অনুপমকে গজাননের ছোটো ভাই কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৪
ফল্গুর বালির মতো তিনি আমাদের সমস্ত সংসারটাকে নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন।’ কার কথা বলা হয়েছে? এ কথার তাৎপর্য কী?
উত্তর: অনুপমদের পরিবারে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের কারণে অনুপমের মামাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে। ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা। অনুপমের জীবনের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই মামার ভূমিকাই প্রধান। তিনি অনুপমের চেয়ে মাত্র ছয় বছরের বড়ো। অথচ সংসারে তাঁর মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফল্গু একটি নদীর নাম। যার উপরের অংশে বালির আস্তরণ কিন্তু ভেতরে জলস্রোত প্রবাহিত। অনুপমের মামার সর্বেসর্বা হয়ে সমস্ত দায়-দায়িত্ব পালনের বিষয়টিকে এ নদীর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনুপমের মামা যেন ফল্গু নদীর বালির মতো তাদের সংসারটাকে নিজের অন্তরের মধ্যে শুষে নিয়েছেন। আর এ বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৫
অনুপমকে কেন সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না?
উত্তর: তার একমাত্র মামা সংসারের অভিভাবক হওয়ায় কোনো কিছুর জন্য তাকে ভাবতে হতো না। অনুপমের বাবা ছিলেন না এবং সংসারে ছিলেন মা আর মামা। তবে পিতার মৃত্যুর পর সব দায়িত্ব ছিল মামার হাতে এবং তিনিই সব খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখতেন। তাই অনুপমকে সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না।
অনুধাবন প্রশ্ন-৬
কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করিবেন আমি সৎপাত্র’- কেন?
উত্তর: ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমকে মাতৃ-আজ্ঞাবহ, নিরীহ এক চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে- এখানে সে বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্জাট না থাকায় অনুপম স্বভাবতই একজন ভালো মানুষ। এমএ পাস অনুপম মায়ের আদেশ যথাযথভাবে পালন করে। এমনকি সে তামাক পর্যন্ত খায় না। আমাদের সমাজে বিয়ের প্রসঙ্গে সৎপাত্র সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করা হয়, এ সকল বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই অনুপমের বিশ্বাস- কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করবেন সে সৎপাত্র।
অনুধাবন প্রশ্ন-৭
ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই”— ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: মামার অভিভাবকত্বে বড়ো হওয়া অনুপম সমাজ-সংসারের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন সম্পর্কে সর্বদাই উদাসীন ছিল, যা প্রকাশ পেয়েছে প্রশ্নোক্ত কথাটিতে। অনুপম এমএ পাস করলেও সংসার বা সমাজের প্রতি তাকে কোনো দায়িত্ব পালন করতে হয় না। পিতার মৃত্যুর পর সংসারের অভিভাবকের দায়িত্ব তার মামাই পালন করেন। এমন দায়িত্ব-কর্তব্যহীন ভালো মানুষ হওয়া বেশ সহজ। কেননা যেখানে কোনো দায়িত্ব-কর্তব্য নেই সেখানে ভুল বা ঝঞ্ঝাটের কোনো আশঙ্কাও নেই। তাই গল্পে বলা হয়েছে, ‘ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই।
অনুধাবন প্রশ্ন-৮
অনুপম তার মামাকে ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট বলেছেন কেন?
উত্তর: অনুপমের প্রতি তার মামার অভিভাবকত্বকে বোঝাতে গিয়ে ব্যঙ্গ করে অনুপমের ভাষায় বলা হয়েছে তিনি আমার ভাগ্যদেবতার এজেন্ট। অনুপমের বয়স যখন অল্প তখনই অনুপমের বাবা মারা যান, ফলে অনুপমের আসল অভিভাবক হয়ে ওঠে তার মামা। অনুপমের বাবা ওকালতি করে যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন অনুপমের মামাই সেসবের দেখাশোনা করতেন। যেহেতু অনুপমদের অর্থনৈতিক দিকটি তার মামার নিয়ন্ত্রণে ছিল তাই অনুপমের সকল ব্যাপারেই তার মামার অভিভাবকত্ব। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে মামার এই অভিভাবকত্বকে ব্যঙ্গ করে অনুপম মামাকে তার ভাগ্যদেবতার এজেন্ট বলে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৯
হরিশ কীভাবে অনুপমের মন উতলা করে দিল?
উত্তর: অনুপমের বিয়ে প্রসঙ্গে হরিশ তাকে কল্যাণীর সন্ধান দেয়। হরিশ কানপুরে কাজ করে। ছুটিতে সে কলকাতা এসেছে। এদিকে অনুপমেরও পড়ালেখা শেষ হওয়ায় তার তেমন কোনো কাজ নেই। এমন অবকাশের সময় হরিশ একটি মেয়ের সন্ধান দিয়ে অনুপমের মন উতলা করে দিল।
অনুধাবন প্রশ্ন-১০
অনুপমের মামা কেন হরিশকে পেলে ছাড়তে চান না?
উত্তর: আসর জমাতে অদ্বিতীয় রসিক হরিশকে অনুপমের মামা পছন্দ করতো। হরিশকে সবাই খুব খাতির করে। কেননা তার সরস রসনার গুণ ও বাভঙ্গি সবাইকে মুগ্ধ করে। অনুপমের মামাও এজন্য তাকে খুব খাতির করেন। মূলত তার আসর জমানোর এই গুণের কারণেই মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
অনুধাবন প্রশ্ন-১১
মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর’— উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো?
উত্তর: বিয়েতে কল্যাণীর যোগ্যতার চেয়ে তার পিতা শম্ভুনাথ কী পরিমাণ পণ দিতে সক্ষম অনুপমের মামার কাছে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। হরিশ অনুপমের মামার কাছে অনুপমের জন্য পাত্রীর সন্ধান দেয়। পাত্রীর কথা জানার চেয়ে মামার কাছে পাত্রীর বাবার বিষয়-সম্পত্তির ব্যাপারে জানার বেশি আগ্রহ দেখা যায়। রূপ বা গুণ নয় বরং তার বাবার আর্থিক সক্ষমতার মানদণ্ডে পাত্রীর যোগ্যতা যাচাই করে অনুপমের মামা । আলোচ্য উক্তিটিতে অনুপমের মামার যৌতুকলিপ্সার দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-১২:
শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছিলেন কেন?
উত্তর: দেশে বংশমর্যাদা রক্ষা করে চলা সহজ নয় বলে শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছিলেন। এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। টাকা-পয়সার কোনো অভাব ছিল না তাঁদের। কিন্তু বর্তমানে তেমন কিছু নেই বললেই চলে। আর সামান্য যা বাকি আছে তা দিয়ে বংশমর্যাদা রক্ষা করে চলা সহজ নয় বলে তিনি পশ্চিমে গিয়ে বাস করছিলেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৩
তাহারই পশ্চাতে লক্ষ্মীর ঘটটি একেবারে উপুড় করিয়া দিতে দ্বিধা হইবে না’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: বিয়েতে বেশি পরিমাণে পণ পাওয়া যাবে বলেই অনুপমের মামা বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন তা বুঝতে পেরেই অনুপমের মনে এমন ভাবোদয়ের সৃষ্টি হয়েছিল । অনুপম ও তার মামার কাছে কল্যাণীর পরিবারের বৈষয়িক অবস্থার বিবরণ দিয়েছিল হরিশ। হরিশের বর্ণনা অনুযায়ী, একসময় কল্যাণীর বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভঁরা ছিল, অর্থাৎ ধনসম্পদে পরিপূর্ণ ছিল তারা। বর্তমানে তাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ হলেও তা যৎসামান্য [‘যৎসামান্য’ অর্থ- অল্পতম, ক্ষুদ্র নয় । তাই কল্যাণীর পেছনেই লক্ষ্মীর ঘট, অর্থাৎ সমস্ত অর্থ উজাড় করে দিতে দ্বিধা করবেন না তার পিতা শম্ভুনাথ সেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৪
একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুকভাঙা পণ – এই কথার অর্থ বুঝিয়ে দাও?
উত্তর: পনেরো বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে। কল্যাণীর বয়স পনেরো যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা পণ দিতে হয় বলে সুপাত্র মেলাই ভার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিন্তিত নয়। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র ছাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার এরূপ মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে সাধারণত দেখা যেত না।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৫
অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
উত্তর: ‘অপরিচিতা’ গল্পের হরিশ অনুপমের মামার কাছে কল্যাণী ও তার পরিবারের প্রশংসা করার ফলে মামার মন নরম হলো। বিয়ের পাত্রী তথা কল্যাণীর পারিবারিক অবস্থা, বংশমর্যাদার ব্যাপারে অনুপমের মামাকে বিশদ বর্ণনা দেয় হরিশ। সেসব কথা শুনে তিনি আশ্বস্ত হলেও কল্যাণীর বয়স বেশি মনে করে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্তও হন। কিন্তু হরিশের ছিল সরস কথা দ্বারা মানুষের মনকে প্রভাবিত করার বিশেষ গুণ। তাই তো পরে তার কাছ থেকে পাত্রী ও তার পরিবারের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য প্রশংসাবাক্য শুনে মামার মন নরম হয়েছিল।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৬
অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘ্নে সমাধা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: হরিশের সরস রসনার গুণে অনুপমের মামা কল্যাণীর সাথে অনুপমের বিয়েতে সম্মত হয়েছিলেন। অনুপমের বন্ধু হরিশ রসিক প্রকৃতির হওয়ায় মামা তাকে পছন্দ করতেন। অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে মামাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল হরিশের ওপর। হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হয়েছিল। এ কারণেই অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটা নির্বিঘ্নে সমাধা হয়েছিল।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৭
অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি কেন?
উত্তর: সাহসের অভাবে অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি। অনুপমের প্রকৃত অভিভাবক ছিলেন মামা। মা ও মামার কথার বাইরে অনুপম নিজ থেকে কোনো কথা বলতে পারত না। কারণ ছোটোবেলা থেকেই সে এমনভাবে বড়ো হয়েছে যে কোনো মতামত বা ইচ্ছা পোষণের সাহস তার ছিল না। তাই বিয়ের সময়ও সে নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৮
আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই’- বাক্যটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত বাক্যটিতে অনুপমের ভাগ্যের সুপ্রসন্নতার কথা বলা হয়েছে। অনুপমের বিবাহের জন্য কন্যাকে আশীর্বাদ করতে তার পিসতুতো ভাই বিনুকে পাঠানো হলো। সে ফিরে এসে কন্যার প্রশংসা করে। বিনু খুবই রুচিশীল মানুষ, সে অল্প কথায় অনেক অর্থ প্রকাশ করে। সে যখন বলে খাঁটি সোনা, তখন অনুপমের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার জন্য যে পাত্রী পছন্দ করা হয়েছে, সে অনন্য গুণসম্পন্ন নারী। তার ভাগ্যে বিবাহের দেবতা প্রজাপতি ও প্রেমের দেবতা মদনের শুভদৃষ্টি পড়েছে। উভয় দেবতার মধ্যে আশীর্বাদের কোনো রকম বিরোধ নেই।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৯
মামা, কীভাবে অনুপমদের সমস্ত সংসারের প্রধান গর্বের সামগ্রীতে পরিণত হলেন?
উত্তর: কোনো অবস্থাতেই ঠকতে না চাওয়ার মাধ্যমে মামা অনুপমদের সমস্ত সংসারের প্রধান পর্বের সামগ্রীতে পরিণত হলেন । অনুপমদের সংসারের যাবতীয় ভার ছিল মামার ওপর। তিনি তাদের সমস্ত সংসারটাকে আগলে রেখেছিলেন। অনুপমের বিয়ের পণ নির্ধারণেও তিনি চাতুর্যের পরিচয় দিয়েছেন। মামা তাঁর দক্ষতার জন্যই অনুপমদের সমস্ত সংসারের প্রধান গর্বের সামগ্রীতে পরিণত হলেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২০
অনুপমের বিবাহযাত্রার বর্ণনা দাও?
উত্তর: অনুপম মহাসমারোহের সাথে বিয়ে করতে গিয়েছিল। ধনী ঘরের ছেলে অনুপম। তাই তার বিয়েতে ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া। ব্যান্ড, বাঁশি, কন্সার্ট কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। দামি পোশাক ও বাহারি গহনায় জড়ানো ছিল অনুপমের শরীর। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে যেন ভাবী শ্বশুরের সঙ্গে আভিজাত্যের মোকাবিলা করতে বিয়ের আসরে যাচ্ছে।