অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট

Admin
January 28, 2025
206
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে বাংলা লিখে বা বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আমি আজকে এরকম একটি ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করছি। প্রথমে বলে নেই, আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে দেখে নিতে হবে যেখান থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন সে ওয়েবসাইট বা সার্ভিস বিশ্বাসযোগ্য কি না। কেননা অসংখ্য ওয়েবসাইট এর মধ্যে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে কাজ করলেও পেমেন্ট নিতে হলে পড়তে হবে অনেক ভোগান্তির মধ্যে।
১০. টি অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
১. Google Adsense
এটি গুগলেরই একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এটির মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারনত গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ধরুন আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে মনিটাইজ করা।তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ এড দেখিয়ে টাকা পাবেন।তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে আপনি গুগল এডসেন্সের শর্ত মেনে সেখানে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স দুই রকমের হয়। হোস্টেড একাউন্ট ও নন হোস্টেড একাউন্ট। নন হোস্টেড একাউন্ট সম্পূর্ণ নিজের তত্তাবধানে।গুগল এডসেন্স এ ১০$ হয়ে গেলে গুগল থেকে পিন ভেরিফিকেশন এর মেসেজ আসে। এরপর আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট এড করে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
২. Youtube
ইউটিউব থেকে কি টাকা ইনকাম করা যায়?হ্যা আসলেই ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ইউটিউব গুগল এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ইউটিউব থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এর মাধ্যমে। এর জন্য প্রথমে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। চ্যানেল খুললেই যে আপনি টাকা ইনকাম শুরু করবেন এমন না।
আপনাকে কিছু শর্ত পূরনের মাধ্যমে চ্যানেল মনিটাইজ করতে হবে। মনিটাইজ করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে। তাহলেই আপনার একাউন্ট মনিটাইজড হবে এবং আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মানে আপনি কোনো একটি পন্যের রিভিউ বা প্রমোশন করে দিবেন,আর ওই কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে।
৩. CPA Marketing
CPA পূর্ণরূপ হলো Cost per Action । মানে আপনি একটি কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে কিছু কমিশন পাবেন। এটি একটি অনলাইন মার্কেটিং কৌশল। এখানে কোম্পানিগুলো নিজেদের পণ্যের প্রচারকাজে পাবলিশার বা বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের সাহায্য নেয়। কোম্পানিগুলো আপনাকে কিছু কাজ দিবে অ্যাপ ডাউনলোড,ফর্ম পূরন,ইমেইল সাবমিশম,জরিপ পূরন এমন। আপনি মানু্ষকে দিয়ে কাজগুলো করাতে হবে আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে।
ইন্টারনেট এ থাকা অন্যান্য মাধ্যমগুলোর তুলনায় এখানে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং করতে আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট লাগবে। আপনার সাইটে ভালো পরিমানে ট্রাফিক থাকতে হবে। এরপর একটি ভালো সিপিএ নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হতে হবে। এরপর সিপিএ নেটওয়ার্ক থেকে কাজগুলো নিয়ে নিজের সাইটে করানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করুন।
তাছাড়া আপনি বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট ছাড়াও সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং আপনি দুই উপায়েই করতে পারবেন। টাকা খরচ করে এবং ফ্রি তে। মানে আপনি ইনভেস্ট করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার কোনো ইনকাম ছাড়াও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪. Fiverr
একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট।এটি মূলত ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে যোগাযোগ বা সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম।ধরুন একজন ক্লায়েন্টের একটি কাজ করতে হবে লোগো ডিজাইন বা কন্টেন্ট রাইটিং। কিন্তু তিনি সেটা অন্য কাউকে দিয়ে করাতে চান। তখন তিনি ফাইভার এ একটি পোস্ট করবে ওই কাজের বিস্তারিত এবং পারিশ্রমিক উল্লেখ করে।
তখন আপনি যদি কাজটি করতে পারেন তাহলে সেখানে আবেদন করবেন। এরপর সে আপনাকে দিয়ে কাজ টি করবে এবং এরপর আপনার একাউন্ট এ টাকা ট্রান্সফার করে দিবে। এভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন,লোগো ডিজাইন,কপি রাইটিং,কন্টেন্ট রাইটিং এবং আরো অনেক কাজ এখানে করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫. Facebook
Facebook যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক। এখন এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল যে ফেসবুক ব্যাবহার করেনা। ফেসবুক বিনোদন এবং যোগাযোগ এর জন্য হলেও আপনি এখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এটা বিভিন্নভাবে করা যায়। যেহেতু এটি অনেক বড় একটি নেটওয়ার্ক এখানে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।ফেসবুকের একটি ফিচার আছে মারকেটপ্লেস। এখানে আপনি নিজের বা অন্য কারো পন্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।তাছাড়া আপনার যদি ফেসবুক পেইজ থাকে এবং সেখানে অনেক লাইক থাকে তাহলে আপনি অ্যাফেলিয়েট মারকেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনার বিভিন্ন পন্যের ছবি,ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে। ফেসবুক ইন স্ট্রিম এডস এর সাহায্যে নিজের ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
৬. Amazon
আমাজন আমেরিকান একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। এটি ইকমার্স এর একটি অন্যতম প্লাটফর্ম। আপনি এখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এখানে বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এজন্য আপনাকে দক্ষ হতে হবে। এখানে আপনি আপনার নিজের পন্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।বিভিন্ন পন্যের হোলসেল দিতে পারবেন।
এফ্যালিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার নিজের লেখা বই ও এখানে প্রকাশ করতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক কাজের মাধ্যমে আমাজন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়
৭. Upwork
আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক ভালো একটি ওয়েবসাইট। এখানে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট তাদের কাজ পোস্ট করে।এরপর আপনি যদি সে কাজ পারেন এবং আপনার যদি পারিশ্রমিক পছন্দ হয় এরপর আপনি কাজের প্রস্তাব দিতে পারবেন। এরপর আপনি যদি সিলেক্টেড হন কাজ করে দেয়ার জন্য, তাহলে আপনি কাজ করে দিলে টাকা চলে আসবে আপওয়ার্ক ওয়ালেট এ।
এরপর সেখান থেকে টাকা আপনি ব্যাংক একাউন্ট এ ট্রান্সফার করতে পারবেন।এখানে অল্প সময় দেয়ার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে যেহেতু আপনি অনেক বিদেশি ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করবেন তাই আপনার পেমেন্ট ও বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৮. Swagbucks
Swagbucks ওয়েবসাইট এ কাজ করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন জরিপ পূরন করে, বিভিন্ন প্রশ্নের উওর দিয়ে, ভিডিও দেখে, ডেইলি চেকলিস্ট পূরন করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে আপনি এসবি পাবেন( SB- swagbucks special currency). ১০০ এসবি = ১$.কাজ করতে করতে যখন আপনার ৩০০ এসবি মানে ৩$ হবে তখন আপনি সেটা তুলতে পারবেন পেপাল এর মাধ্যমে। তাছাড়া আপনি তা গিফটকার্ডেও ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে কাজ করা কঠিন কিছু নয়। আপনি সহজ কিছু কাজের মাধ্যমেই আপনার পকেট খরচ ইনকাম করতে পারবেন।
৯. Kolotibablo
Kolotibablo হলো পার্টটাইম ইনকাম অপশন।এটি ২০০৭ সালে চালু হয়। যাদের অবসর সময় থাকে এবং তারা সেসময় অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যায় করে তাদের জন্য এটি কার্যকরী। এখানে আপনি Captcha লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাকা ইনকামের জন্য এখানে আপনাকে প্রতিদিন ১০০০ Captcha সমাধান করতে হবে।
এটা মোটেও কঠিন কিছুনা। অনেকে দিনে ৩০০০ Captcha ও সমাধান করে। এখানে আপনার কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হবেনা। আপনি প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই। এখানে আপনি ১০০০ Captcha সমাধান করলে ০.৪$ পাবেন।
১০. Prizerebel
একটি বিনামূল্যে ব্যবহার এর সাইট, মানে এখানে কোনো টাকা ইনভেস্ট করা লাগেনা। এখানে সদস্যদের জরিপ পূরন এবং অন্যান্য সাধারণ কাজগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। বিনিময়ে, তারা আপনাকে এমন পয়েন্ট দিয়ে পুরস্কৃত করে যা উপহার কার্ড এবং নগদ অর্থের জন্য রিডিম করা যেতে পারে৷ কোম্পানিটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য রয়েছে৷
২০২২ সালের এই আপডেট অনুসারে, তারা সদস্যদের মোট $21 মিলিয়নেরও বেশি পুরস্কার দিয়েছে। এটি আমেরিকা ভিত্তিক কোম্পানি।তাই পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এর সেবা রয়েছে।আপনি যখন এখানে জরিপ পূরন করবেন বা অন্যান্য টাস্ক সম্পূর্ণ করবেন তখন আপনি পয়েন্ট পাবেন।সেই পয়েন্টগুলো পরে আসল টাকা হিসেবে ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনার বন্ধুকে রেফার করলে তার ইনকাম এর ২০% আপনি পাবেন।