Omidon
-679e844d48436.jpg)
Admin
February 02, 2025
126
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। অমিডন ১০ সাধারণত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, পেটে ব্যথা, খাওয়ার অরুচি সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই Omidon 10 mg কাজ কি? অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন? এই বিষয়ে জানিনা। এজন্য, আজকের আর্টিকেলে Omidon 10 mg এর কাজ কি - অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
Omidon Tablet
বর্তমানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতে ভোগেন। এছাড়াও পেটে ব্যথা খাওয়াই- অরুচিবোধ করা সহ মানব দেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সকল সমস্যা থেকে উপশম পাওয়ার জন্য চিকিৎসকরা যে সকল মেডিসিন রোগীদেরকে দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অমিডন ১০।
এজন্য আজকের আর্টিকেলে অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত, Omidon 10 mg কাজ কি, অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন, অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিব। তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত
অমিডন ১০ দান সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহলে চলুন অমিডন ১০ এর দাম এক পলক দেখে নেই। এটি একটি ইনসেপ্টা ফার্মেসিউটিক্যাল লিমিটেড (Incepta Pharmaceuticals Ltd) কোম্পানির তৈরিকৃত মেডিসিন। প্রতি পিস অমিডন ১০ ট্যাবলেটের দাম হচ্ছে ৩ টাকা এবং ১০০ পিসের দাম হচ্ছে ৩০০ টাকা। বাজারে অমিডন ১০ এবং অমিডন ২০ দুটোই পাওয়া যায় এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করার যায়।
Omidon 10mg এর কাজ কি
Omidon 10 mg এর কাজ হলো যাদের পাকস্থলী জনিত সমস্যা রয়েছে যেমন খাওয়ার পরে বুকে জ্বালাপোড়া করা, পেটে ব্যথা হওয়া, পেটের ভিতরে ফাঁপা অনুভব করা, খেতে অরুচিসহ হজমে বিভিন্ন সমস্যা হয় তাহলে অমিডন ১০ খাওয়ার ফলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা রয়েছে যেমন অল্প খাবার খেলে পেট ভরে যাওয়া, খাবার খাওয়ার পরে বদহজম বা ঢেকুর তোলা, খাবার খাওয়ার পরে পাকস্থলী থেকে খাদ্য ঢেকুরের মাধ্যমে উপরে উঠে আসা ইত্যাদিসহ মাইগ্রেন হতে সৃষ্ট তীব্র বমি বমি ভাবকে ভাব প্রতিরোধক হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগীদের অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ, এসব সমস্যা থেকে অমিডন ১০ ট্যাবলেট অনেকটাই শরীরকে উপশম করে।
অমিডন কেন খায়
অমিডন ১০ ট্যাবলেটের রয়েছে দমপেরিডোন বিপি যা আমাদের মানব দেহের পাকস্থলীর বিভিন্ন কার্যকারিতা গুলোকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তবে এই মেডিসিন যে শুধু হজমের ওষুধ এমনটি বলা উচিত হবে না। হজম জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য অমিডন ১০ ব্যবহার হয়ে থাকে। তাছাড়াও যেসব ব্যক্তিদের বুকে জ্বালাপোড়া করে সেসব ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসকরা অমিডন ১০ এই ট্যাবলেটটি খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়াও বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার ক্ষেত্রেও অমিডন ১০ ব্যবহার করা হয়। তবে এই মেডিসিনের আরো অনেক ব্যবহার রয়েছে সেই ব্যবহারগুলো অবশ্যই একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে করতে হবে।
এরপর এটিও জানতে হবে যে চিকিৎসকরা আপনার কোন সমস্যার জন্য এই মেডিসিন দিচ্ছে। আপনি যখন এই বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে অমিডন ১০ ট্যাবলেট সেবন করুন। তাহলে খেয়াল করবেন আপনার সমস্যা অতী শীঘ্রই ঠিক হয়ে গেছে।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনি আপনার গাড়িকে স্বাভাবিক রাখতে যদি নিয়মিত তেল এবং সার্ভিসিং করান তাহলে আপনার গাড়িটি স্বাভাবিক থাকবে। ঠিক তেমনি আপনার শরীরকেও স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে নিয়মের আওতায় আনতে হবে। যে নিয়মগুলো মেনে আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন সেই নিয়মগুলো মেনে না চলে যদি আপনি উল্টাপাল্টা নিয়মে চলেন তাহলে আপনার শরীর কখনোই সুস্থ বা স্বাভাবিক হবে না। আপনার শরীরে কোন সমস্যা রয়েছে সেই মোতাবেক আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেন কিন্তু, চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধগুলি সঠিকভাবে নিয়ম মেনে খেলেন না তাহলে সেই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে বলেন? তেমনি অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যেগুলো আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চললে এই মেডিসিন আপনার শরীরে অনেক উপকারে আসবে।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে খাবার খাওয়ার ২০ থেকে ২৫ মিনিট আগে দৈনিক তিন বেলা অমিডন ১০ ট্যাবলেট খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর পূর্বে খেতে পারেন। তবে বয়স ভেদে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট মাত্র আছে। যেমন প্রাপ্তবয়স্ক করা যে পরিমাণ অমিডন ১০ ট্যাবলেট খেতে পারবে শিশুরা কিন্তু ততটুকু খেতে পারবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অমিডন ১০ খাওয়ার মাত্রা পুরোটাই আলাদা।
সুতরাং, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক একটি অথবা দুইটি করে অমিডন ১০ প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর খেতে হয়। অপরদিকে শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মিগ্রা সাসপেনশন অথবা ড্রপ শরীরের ওজন অনুসারে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর খেতে হয়। আশা করি, এই বিষয়টি আপনাদের কাছে পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়ে গেছে। তবে এর বাইরে যদি আপনার অতিমাত্রার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণ করবেন।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এবার আসুন আমরা জেনে নেই অমিডন ১০ ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি? প্রতিটা ওষুধের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অমিডন ১০ এর ক্ষেত্রে অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব হওয়াসহ লিভারে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়াও অমিডন ১০ ট্যাবলেটে রয়েছে ডমপেরিডোন যা আমাদের মানবদেহে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সব সময় দেখা যায় না। কিন্তু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য, অবশ্যই আপনার উচিত হবে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বসে না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
অমিডন খেলে কি মোটা হয়
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা জানতে চায় যে অমিডন খেলে কি মোটা হয় কিনা। তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলব অমিডন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না বা অমিডন মোটা হওয়ার ওষুধ নয়। কেননা এই ওষুধ এটি সাধারণত গ্যাস্ট্রিক জনিত নানান ধরণের সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই এই ওষুধ সেবনে মোটা হওয়া যায় না।
তবে এই ট্যাবলেট খেলে অনেকেরই খাবারের রুচি আগের চেয়ে বেরে যায়। তবে এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে আশা করছি অমিডন খেলে মোটা হয় কিনা তা জানতে পেরেছেন। অমিডন ট্যাবলেট মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না বরং এটি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের হজম জনিত বিভিন্ন সমস্যা কিংবা বমি বমি ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা
গর্ভবতী নারী অথবা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত তাদের অমিডন ওষুধ সেবন করানো একেবারেই উচিত হবে না।
এছাড়া যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত গুরুতর লিভারজনিত সমস্যায় Omidon ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় না।
এই ওষুধটিকে ঠান্ডা স্থানে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে। মূলত ৩০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণের জন্য বলা হয়ে থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত আলো, তাপ এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে।
শেষকথা
আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প কিছু হলেও Omidon 10 mg এর কাজ কি - অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন? এই সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন। যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে বা কোথাও যদি বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ইনশাআল্লাহ সমাধান দেয়ার অবশ্যই চেষ্টা করব।
Omidon 10 mg এর কাজ কি - অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন? এই বিষয় নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও আপনার পরিচিতদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।