নীতিবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান

নীতিবিদ্যা কোন ধরনের বিজ্ঞান
Admin November 27, 2024 331
বিজ্ঞানকে মূলত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এদের একটি হলো বিষয়নষ্ঠ বিজ্ঞান(positive science) আর অপরটি হলো আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান(normative science)।

বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞান( positive science)

বস্তু ও ঘটনার উৎপত্তি,বিকাশ ও প্রকৃতির যথাযথ আলোচনা করে বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞান। তাই পদার্থবিদ্যা,জীববিদ্যা,মনোবিদ্যাকে এই শ্রেণীতে ফেলা যায়। কারণ এরা প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব বিভাগের স্বরূপ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। মনোবিদ্যা যেমন মানুষের আচরণের উৎপত্তি,বিকাশ নিয়ে ব্যাখ্যা,
বিশ্লেষণ করে থাকে, ঠিক তেমনি পদার্থবিদ্যায় জড়ের উৎপত্তি,আচরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা,বিশ্লেষণ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞানকে বর্ণনাত্বক বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বলা হয়। কারণ প্রকৃতিতে প্রতিটি ঘটনা যেভাবে ঘটে তার হুবহু বর্ণনা বিজ্ঞানের এই শাখায় উঠে আসে।
অল্পকথায়,জগতের প্রতিটি বস্তু,ঘটনা ও প্রকৃতির বিশদ ব্যাখ্যা,বিশ্লেষণ,বর্ণনা
দেয়াই এই শাখাটির কাজ।

আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Normative science)

আদর্শের প্রেক্ষিতে তার বিষয়বস্তু আলোচনা করে এই বিজ্ঞান। জগতের প্রতিটি বস্তু,ঘটনা বা আচরণকে একটি আদর্শ মাপকাঠির কষ্টিপাথরে যাচাই করে তাদের গুনাগুন বিচার করে এই বিজ্ঞান। তাই যুক্তিবিদ্যা,সৌন্দর্যবিদ্যা,নীতিবিদ্যা এই শ্রেণীর আওতাধীন। যুক্তিবিদ্যার আদর্শ সত্য,সৌন্দর্যবিদ্যার আদর্শ সুন্দর, নীতিবিদ্যার আদর্শ মঙ্গল।
অর্থাৎ আদর্শের ভিত্তিতে যে কোনো বিষয়ের মূল্যায়নই এই বিজ্ঞানের মূল কাজ। তাই একে মূল্যায়নের বিজ্ঞান বা নিয়ামক বিজ্ঞানও বলা যায়।
তাহলে নীতিশাস্ত্র কে কি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা যায়?
হ্যাঁ,বলা যায়। কারন নীতিশাস্ত্র যেহেতু একটি আদর্শ মাপকাঠিকে সামনে রেখে অর্থাৎ পরমকল্যাণের আলোকে মানুষের আচরণের ভালো বা মন্দ,ঔচিত্য বা অনৌচিত্য নিরুপণ করে থাকে,তাই একে আদর্শ নিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা যায়।

জীবন বিজ্ঞান 
জীবন বিজ্ঞান হল একটি বিজ্ঞান যা সম্পূর্ণ জীবজন্তু ও প্রাণীজাতির জীবন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে গবেষণা করে। জীবন বিজ্ঞান শস্য, প্রাণী, মানব, জীবাশ্ম, জীবনপ্রক্রিয়া, রক্তচক্ষু ও কম্পিউটার সংগঠন এবং প্রক্রিয়াসমূহ, জীবনের পরিবর্তন, জীবনের প্রক্রিয়া এবং তার সামঞ্জস্যিকতা, জীবনের আবহাওয়া এবং এর পরিবেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে।
জীবন বিজ্ঞান আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুখের উন্নয়ন ও জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবন বিজ্ঞান আমাদের জীবনে ঘটা প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জানতে এবং জীবনের বিভিন্ন দিক বুঝতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি আমাদের পরিবেশের সংরক্ষণে ও প্রকৃতির সম্পর।