মাসিক নিয়মিত করার উপায়

মাসিক নিয়মিত করার উপায়
Admin October 15, 2024 440
একজন প্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী বা যুবতীর নিয়মিত এবং নিয়মিত মাসিক হওয়া স্বাভাবিক। তা না হলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার শারীরিক সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে কোনো রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে নাকি লাইফস্টাইলে ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

অতিরিক্ত কাজের চাপ, ওজন কমে যাওয়া, থাইরয়েডের সমস্যা, মানসিক চাপ, ডিম্বাশয়ের সমস্যা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে নারীরা উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেন। এটা আরো ক্ষতি করে।

যদি আপনার পিরিয়ড হঠাৎ অনিয়মিত হয়ে যায়, তবে তা নিয়মিত করার উপায় রয়েছে। আপনি ডাক্তারের কাছে না গিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনার পিরিয়ড নিয়মিত করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো

ব্যায়াম

যেসব নারী নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের মাসিকের সমস্যা থাকে না। নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, সেগুলো করলে অনেক সময় মাসিক হয়ে যায়।

ব্যায়ামের কারণে পেশি বাঁধা পেয়ে থাকে, যার কারণে পেশি সংকোচন শুরু করে, শরীরে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে থাকে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর ব্যায়াম করলে পরবর্তী সময়ে সঠিক সময়ে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

টকজাতীয় ফল

টকজাতীয় ফল যেমন- তেঁতুল, মাল্টা, জলপাই মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে থাকে। চিনি মেশানো পানিতে তেঁতুল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর এর সঙ্গে লবণ, চিনি ও জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুবার পান করুন। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে দেবে।

আদা

মাসিকের চক্রকে নিয়মিত করতে আদা বেশ কার্যকর। ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ৫-৭ মিনিট সিদ্ধ করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পর তিনবেলা এটি পান করুন। নিয়মিত এক মাস এটি পান করুন।

তিল

তিল একটি উপকারী উপাদান। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে সাহায্য করবে। তিলের উপাদান হরমোন উৎপাদন করে থাকে। অল্প পরিমাণের তিল ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ গুড় মিশিয়ে নিন। এটি রোজ খালি পেটে এক চা চামচ করে খান। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

খাবার খাওয়ার আগে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দিয়ে থাকে, যা মাসিক নিয়মিত করে থাকে।

স্বাস্থ্যকর জীবন

যেসব নারীর মেনোপজের বয়স হয়ে এসেছে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আরও বেশি জরুরি। কারণ মেনোপজের পর পরই অনেক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।

কাঁচা পেঁপে

কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের সমস্যা সমাধান করে। কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পান করলে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর হবে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি পান করবেন না।

জিরা

জিরায় রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসায় ভেজানো জিরা ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ চামচ জিরা নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জিরা ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু পান করুন।

মনে রাখবেন একবার মাসিক দেরিতে হলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে পিরিয়ডের দিকে খেয়াল রাখুন। তিন মাস টানা পিরিয়ড না হলে, বছরে ৯ বারের কম পিরিয়ড হলে বা প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।