দোয়ায়ে কুনুত
-670e74790e6b4.png)
Admin
October 15, 2024
357
রাতের নামাজ বিতর। এ নামাজে দোয়া কুনুত পড়তে হয়। এশার নামাজের পর থেকে শেষ রাতের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে এ বিতর নামাজ পড়া যায়। এ নামাজের তৃতীয় রাকাতে সুরা মিলানোর পর দোয়া কুনুত পড়তে হয়। কিন্তু এ দোয়া কুনুতে মানুষ কী পড়ে? কেনই বা দোয়া কুনুত পড়তে হয়? এ দোয়ায় কী রয়েছে?
‘কুনুত’ অনেক অর্থসমৃদ্ধ একটি শব্দ। এ শব্দ দ্বারা নিরবতা, সালাত, কিয়াম ও ইবাদত ইত্যাদি বুঝায়। এখানে কুনুত দ্বারা উদ্দশ্য হলো- ‘নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি একরাতে নবী (স.)-এর নিকটে ছিলাম। তিনি শয্যাত্যাগ করলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। এরপর উঠে বিতর পড়লেন। প্রথম রাকাতে ফাতেহার পর সুরা আ’লা পাঠ করলেন। এরপর রুকু ও সেজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকাতে ফাতেহা ও কাফিরুন পাঠ করলেন এবং রুকু-সেজদা করলেন। তৃতীয় রাকাতে ফাতেহা ও ইখলাস পাঠ করলেন। এরপর রুকুর আগে কুনুত পড়লেন।’ (কিতাবুল হুজ্জাহ: ১/২০১; নাসবুর রায়াহ: ২/১২৪)
দোয়া কুনুত আরবি উচ্চারণ
اللّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ، اللّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّيْ وَنَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাইনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নুমিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর; ওয়া নাশকুরুকা ওয়া লা নাকফুরুকা; ওয়া নাখলাঊ ওয়া নাতরুকু মাইঁইয়াফঝুরুকা; আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু; ওয়া লাকা নুসাল্লি ওয়া নাসঝুদু; ওয়া ইলাইকা নাসআ ওয়া নাহফিদু; নারঝু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্ব।’
দোয়া কুনুত বাংলা অর্থ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামাজ পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, আপনার শাস্তিকে ভয় পাই। নিঃসন্দেহে আপনার শাস্তি ভোগ করবে কাফির সম্প্রদায়।