বাথরুমে প্রবেশের দোয়া

বাথরুমে প্রবেশের দোয়া
Admin October 15, 2024 337

প্রস্রাব করার জন্য টয়লেটে যাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রয়োজন। এই সময়ে, অশুভ আত্মাদের কুদৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি নিজেই বিনা কষ্টে প্রয়োজন পূরণ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার এবং ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই টয়লেটে প্রবেশের আগে ও পরে সকল অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করা সুন্নত আমল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও এই নামাজগুলো আদায় করতেন। সেই দোয়াগুলো কী?

টয়লেটে প্রবেশের আগে

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম টয়লেটে প্রবেশের সময় বলতেন-

اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে-

হজরত আলি ইবনু আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, টয়লেটে ঢুকার সময় জিনের চোখ ও আদম সন্তানের গোপনীয় অঙ্গসমূহের মধ্যে অন্তরাল সৃষ্টি করতে চাইলে; বলতে হবে-

بِسْمِ اللهِ

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি’

অর্থ : আল্লাহর নামে। (তিরমিজি)

সুতরাং টয়লেটে প্রবেশের সময় এভাবে দোয়া করা-

بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’

অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)


টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর দোয়া

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় বলতেন-

> ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ

উচ্চারণ : ‘গোফরানাকা।’

অর্থ : (হে আল্লাহ!) আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)

এভাবেও দোয়া করা যেতে পারে-

> غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ

উচ্চারণ : ‘গোফরানাকা আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।’

অর্থ : ‘(হে আল্লাহ!) আপনার কাছে ক্ষমা চাই। সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য; যিনি ক্ষতি ও কষ্টকর জিনিস থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন।’

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, টয়লেটে প্রবেশের আগে এবং টয়লেট থেকে বের হওয়ার পরে হাদিসে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিনের বদ-নজর থেকে হেফাজত থাকা। টয়লেটের পর কষ্টদায়ক অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও শুকরিয়া আদায় করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে টয়লেটে প্রবেশের আগে এবং টয়লেট থেকে বের হয়ে হাদিসের দিকনির্দেশনা মেনে দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল কারার তাওফিক দান করুন। আমিন।