Bangladeshi Sonar Dam Koto
-679b61f890de4.png)
Admin
January 30, 2025
166
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) মূল্য ১,১২,৪৪০ টাকা।দয়া করে মনে রাখবেন, স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য সম্পর্কে জানতে স্থানীয় জুয়েলারি দোকান বা বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন।
Bangladeshi Sonar Dam Koto
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট হলমার্ককৃত স্বর্ণের প্রতি গ্রামের মূল্য ১২,২৪২ টাকা। তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ১,৪১,৪২৬ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশে স্বর্ণ (সোনা) মূলত আমদানি নির্ভর এবং এর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। স্বর্ণের দাম বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নিয়মিতভাবে নির্ধারণ করে এবং বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।
বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
মূল্য নির্ধারণ: আন্তর্জাতিক স্বর্ণের দাম, ডলার বিনিময় হার এবং স্থানীয় চাহিদার উপর নির্ভর করে।
হলমার্কিং: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI) হলমার্কিং নিশ্চিত করে।
প্রকারভেদ: ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট এবং ১৪ ক্যারেট স্বর্ণ পাওয়া যায়।
বাজার: দেশের প্রধান স্বর্ণ বাজারগুলোর মধ্যে আছে ঢাকা (বাজারে গলি), চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী।
আপনি কি বর্তমান স্বর্ণের দাম বা স্বর্ণ কেনাবেচা সম্পর্কিত কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চান?
বাংলাদেশে স্বর্ণ শিল্প দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। এটি শুধু অলংকার তৈরির জন্যই নয়, বরং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে স্বর্ণের বাজার সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
স্বর্ণের উৎস
বাংলাদেশে নিজস্ব স্বর্ণখনি নেই, তাই পুরোপুরি আমদানির উপর নির্ভরশীল। প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করা হয়।
স্বর্ণের দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ও ডলার বিনিময় হার বিশ্লেষণ করে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে।
মূল কারণ যা স্বর্ণের দাম প্রভাবিত করে:
আন্তর্জাতিক বাজারের দর
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
স্থানীয় বাজারের চাহিদা
আমদানি শুল্ক ও সরকারি নীতি
স্বর্ণের ক্যারেট ও ধরন
বাংলাদেশের বাজারে সাধারণত নিম্নলিখিত ক্যারেটের স্বর্ণ পাওয়া যায়:
২৪ ক্যারেট (৯৯.৯% খাঁটি সোনা) – বিনিয়োগ ও বার আকৃতির সোনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
২২ ক্যারেট (৯১.৬% খাঁটি সোনা) – অলংকার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
২১ ক্যারেট (৮৭.৫% খাঁটি সোনা) – কিছু অলংকারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
১৮ ক্যারেট (৭৫% খাঁটি সোনা) – মিশ্র ধাতুর সাথে ব্যবহৃত হয়, সাধারণত ডিজাইনার গহনার জন্য।
বাংলাদেশে স্বর্ণের ব্যবসা ও বাজার
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বড় স্বর্ণের বাজার রয়েছে, যেমন:
ঢাকা: বাজার গলি (গোলাপ শাহ মাজারের পাশে), নিউ মার্কেট এলাকা
চট্টগ্রাম: রিয়াজউদ্দিন বাজার, আগ্রাবাদ
সিলেট: জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার
খুলনা: পাইওনিয়ার মার্কেট, শিববাড়ী
স্বর্ণ বিনিয়োগ ও সঞ্চয়
বাংলাদেশে স্বর্ণ শুধু অলংকার হিসেবেই নয়, বরং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয়।
স্বর্ণ কেন বিনিয়োগের জন্য ভালো?
মুদ্রাস্ফীতি থেকে সুরক্ষা দেয়
দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক সম্পদ
সহজে নগদীকরণযোগ্য
বৈশ্বিক সংকটের সময় মূল্য ধরে রাখে
স্বর্ণ আমদানিতে সরকারি নীতি ও শুল্ক
বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শুল্ক ও কর প্রযোজ্য হয়।
আমদানি শুল্ক সাধারণত প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম (এক ভরি) স্বর্ণের জন্য নির্ধারিত হয়।বাজেটে সরকার ঘোষিত নীতিমালার আওতায় স্বর্ণ আমদানিতে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে।
বাংলাদেশে স্বর্ণ চোরাচালান সমস্যা
স্বর্ণের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে চোরাচালান একটি বড় সমস্যা। প্রতিদিনই বিভিন্ন বিমানবন্দরে অবৈধ স্বর্ণ আটকের খবর পাওয়া যায়।
সাধারণত দুবাই, সিঙ্গাপুর, ভারত থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণ আনা হয়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও স্বর্ণ পরিশোধনাগার
বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব স্বর্ণ পরিশোধনাগার (Gold Refinery) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উপসংহার
বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজার ক্রমবর্ধমান এবং এটি বিনিয়োগের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ক্ষেত্র। তবে, দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, তাই বিনিয়োগ বা কেনার আগে ভালোভাবে বাজার বিশ্লেষণ করা জরুরি।