আজান বাংলা উচ্চারণ
আযানের আরবি উচ্চারণ
ফজরের আযানে নিম্নবর্নিত ২টি বাক্য বেশি ব্যবহৃত হয়
আযানের বাংলা উচ্চারণ
- আল্লা-হু আকবার -আল্লা-হু আকবার
- আল্লা-হু আকবার -আল্লা-হু আকবার
- আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ
- আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ
- আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ
- আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ
- হাইয়া ‘আলাছ ছলা-হ’
- হাইয়া ‘আলাছ ছলা-হ’
- হাইয়া ‘আলাল ফালা-হ
- হাইয়া ‘আলাল ফালা-হ
- আল্লা-হু আকবার – আল্লা-হু আকবার
- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ
ফজরের আযানে নিম্নবর্নিত ২টি বাক্য বেশি ব্যবহৃত হয়
- আসস্বলা-তু খাইরুম মিনান্ নাওম
- আসস্বলা-তু খাইরুম মিনান্ নাওম
আযানের বাংলা অর্থ
- আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ – আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ
- আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ – আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ
- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই
- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই
- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রসূল
- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রসূল
- ছলাতের জন্য এসো
- ছলাতের জন্য এসো
- কল্যাণের জন্য এসো
- কল্যাণের জন্য এসো
- আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ – আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ
- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই
ফজরের আযানে নিম্নবর্নিত ২টি বাক্য বেশি ব্যবহৃত হয়
- ঘুম থেকে ছলাত উত্তম
- ঘুম থেকে ছলাত উত্তম
আজানের দোয়া: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস-সালাতিল ক্বায়িমাতি, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল-ফাদিলাতা ওয়াদ-দারাজাতার রাফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া'আদতাহু, ওয়ারজুকনা শাফা'আতাহু ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মি'আদ।
আজানের দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
আজানের পর দোয়া পড়ার ফজিলত
মুয়াজ্জিনের আজান শুনে উত্তর দেওয়া এবং আজানের পর দোয়া পড়ার ফজিলত অত্যাধিক। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজানের পর দোয়া পাঠকারীর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ পুরস্কার।
আজানের পর দোয়া ও মুনাজাত মূলত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরুদ ও প্রশংসা। নবীজির দরুদ পাঠ ও প্রশংসায় মিলবে পরকালের সুপারিশ। এর চেয়ে বড় পুরস্কার মুমিনের জন্য আর কী হতে পারে! হাদিসের বর্ণনায় এসব ফজিলত, দরুদ ও দোয়া উঠে এসেছে। তাহলো—
১. হযরত জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনে এ দোয়া পড়বে—
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দা’ওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস-সালাতিল ক্বায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল-ফাদিলাহ, ওয়াবা’আসহু মাক্বামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া’আদতাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও আসন্ন সালাতের তুমি মালিক। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওয়াসিলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন। এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত কর, যার ওয়াদা তুমি করেছ।’
কিয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ পাওয়ার অধিকারী হবে।’ (বুখারি, মিশকাত)
২. হযরত সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে এ দোয়া পড়বে—
উচ্চারণ: ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদির রাসুলাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা।’
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল। আমি আল্লাহকে প্রভু হিসেবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসুল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি।’
তার গুনাহসমূহ মাফ করা হবে।’ (মুসলিম ও মিশকাত)
আজান ও ইকামতের বাক্যগুলো:
প্রথমে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (চারবার), অতঃপর আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই’ (দুবার), তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’ (দুবার), তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, ‘নামাজের জন্য আসো’ (দুবার) ও হাইয়া আলাল ফালাহ, ‘কল্যাণের জন্য আসো’ (দুবার); পরিশেষে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (দুবার) ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই’ (একবার)।
ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (দুবার) এবং একামতে এই স্থানে বলতে হয় কদ কামাতিস সালাহ, ‘জামাত প্রস্তুত’ (দুবার)।